বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুনানি বার বার পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশা এসেছিল। বহু টালবাহানার পর শুনানি তো শেষ হয়েছে, তবে রায় নিয়ে ফের চিন্তায় কর্মচারী সমাজ। গত ৮ সেপ্টেম্বর ডিএ মামলার (Dearness Allowance) চূড়ান্ত শুনানি সমাপ্ত হয় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তারপর বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ আদালতে শীতকালীন ছুটি শুরু হয়েছে। ফলত এ বছর আর রায়দান নয়।
ডিএ নিয়ে জোর চৰ্চা | Dearness Allowance
৫ জানুয়ারি আদালত খুললে ডিএ মামলার ঘোষণা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কবে রায়দানের সম্ভাবনা? এই বিষয়ে বার্তা দিলেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “কর্মচারী সমাজ দেখেছে, আমরা কিভাবে আইনি লড়াই লড়েছি। আমরা সবসময় চেষ্টা করছি ডিএ মামলার রায় বেরোবে। ”
তিনি বলেন, “জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে যখন সুপ্রিম কোর্ট খুলবে সেই সপ্তাহে রায় আসতে পারে আবার পরবর্তীকালেও দিতে পারে। আমরা অনুমান করছি রায়টা হয়তো এখনও সম্পূর্ণভাবে লেখা হয়নি। শীতকালীন ছুটির মধ্যে রায় লেখা হতে পারে। জানুয়ারি মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে রায় প্রকাশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
মলয়বাবু আরও বলেন, “আমরা জানি না সর্বোচ্চ আদালত ঠিক কোনদিন রায় দেবে। রায় কবে ঘোষণা হবে তা আমরা জানতে পারব মাত্র এক থেকে দু’দিন আগে। সম্প্রতি ধনধান্য অডিটোরিয়ামে বিজনেস কনক্লেভের মঞ্চ থেকে ডিএ ইস্যুতে বড় মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “ডিএ দেওয়া ম্যান্ডেটারি নয়। তবুও আমরা প্রতি বছর ৮ শতাংশ হারে ডিএ দিই।”
এই বিষয়ে মলয়বাবু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মারাত্মক মিথ্যে কথা বলেন। কর্মচারী সমাজ জানে, কারণ ডিএ তো কর্মচারী সমাজ পেয়েছে। পঞ্চম বেতন কমিশনের যে এক কিস্তি ডিএ ৫৪ মাস পরে দিয়েছে সেটা তো আমরা তুলে ধরেছি। ষষ্ঠ বেতন কমিশনে মোট পাঁচ কিস্তি ডিএ দিয়েছে। ২০ সালে বেতন কমিশন লাগু করেছে ডিএ ছাড়া। ২১ সালে ১ কিস্তি দিয়েছে তিন শতাংশ। ২২ সালে কোনও ডিএ দেয়নি। ২৩ সালে তিন শতাংশ। ২৪ সালে দিয়েছে দু’কিস্তি। জানুয়ারি ও এপ্রিলে। তার মূল কারণ হল ২৪ সালে লোকসভা ভোট ছিল। ২৫ সালের এপ্রিল মাসে ১ কিস্তি।

মলয়বাবু বলেন, ২০২০ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে ষষ্ঠ বেতন কমিশন কার্যকর হয়েছে। তারপর থেকে গত ৫ বছরে রাজ্য সরকার মাত্র ৫টি কিস্তিতে ডিএ দিয়েছে। প্রথমে ৩% তারপর যথাক্রমে ৩%, ৪%, ৪%, এবং ৪%। সবমিলিয়ে ১৮ % ডিএ দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথা ঠিক হলে আমরা ৪০% ডিএ পেতাম।












