বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ভারতের (India) পড়শি দেশ চিনে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত কেমিক্যালস অর্থাৎ অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (API) এবং ইন্টারমিডিয়েটসের দাম তীব্র হ্রাসের কারণে ভারতে শীঘ্রই ওষুধের দাম কমতে পারে।
চিনের পদক্ষেপে ভারতেও (India) কমতে পারে ওষুধের দাম:
এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, API-র দাম কমার সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের উৎপাদন খরচও কমে যাবে। যার কারণে জেনেরিক ওষুধের দাম কমানো সম্ভব। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তিরা ET-কে জানিয়েছেন যে, গত কয়েক মাসে চিনে API-এর দাম প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কমেছে।

উল্লেখ্য যে, করোনার মতো ভয়াবহ মহামারী চলাকালীন প্যারাসিটামলের কাঁচামালের (API) দাম ছিল প্রতি কেজিতে ৯০০ টাকা। এখন তা কমে ২৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। একইভাবে, অ্যামোক্সিসিলিনের দাম প্রতি কেজিতে ৩,২০০ টাকা থেকে কমে ১,৮০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। ক্লাভুলানেটের দামও প্রতি কেজিতে ২১,০০০ টাকা থেকে কমে ১৪,৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: জমিয়ে চলছে কেনাকাটা! এই দেশে ২০,০০০ কোটি টাকার কোম্পানি কিনলেন আদানি
দাম কমার কারণ কী: আসলে মহামারীর পর, চিন ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে তার কারখানাগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারণ করেছে। এর ফলে চাহিদার থেকেও বেশি পণ্য তৈরি হচ্ছে। আর এই কারণেই দাম কমেছে। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শীঘ্রই এই দাম আরও কমতে পারে। এই প্রসঙ্গে চিনা ওষুধ বাজার পর্যবেক্ষণকারী মেহুল শাহ জানিয়েছেন, আশা করা হচ্ছে রোগীরা এর মাধ্যমে সরাসরি উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন: মাত্র ৭ দিনেই ১০০ শতাংশের রিটার্ন! ২২ টাকার এই শেয়ার বিনিয়োগকারীদের করল মালামাল
ভারত এক্ষেত্রে চিনের ওপর কতটা নির্ভরশীল: জানিয়ে রাখি যে, ভারত ওষুধের কাঁচামালের ক্ষেত্রে
চিনের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। ভারতে ওষুধের কাঁচামালের প্রায় ৭০ শতাংশ আসে চিন থেকে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, চিন বিশ্বব্যাপী কাঁচামালের দাম খরচের চেয়েও নিচে কমিয়ে দিয়েছে। যার ফলে ভারতীয় কাঁচামাল কোম্পানিগুলির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে।












