বাংলা হান্ট ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে সংরক্ষণের বিষয়টি একটি আলোচিত বিষয়। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস (Indian National Congress) ভারতীয় জনতা পার্টির (Bharatiya Janata Party) বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে যে দলটি সংবিধান পরিবর্তন করে সংরক্ষণ শেষ করবে। তবে, এবার ধর্মের ভিত্তিতে মুসলমানদের সংরক্ষণ দেওয়ার জন্য কংগ্রেসকে নিশানা করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra Modi)।
পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী মোদী এবার সংরক্ষণ ইস্যুতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করলেন। প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের ওপর কড়া আক্রমণ করেন এবং জানান যে, যতদিন তিনি বেঁচে আছেন, তিনি দলিত, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি (ওবিসি)-দের জন্য ধর্মের ভিত্তিতে মুসলমানদের সংরক্ষণ করতে দেবেন না।
ওবিসি হিসিবে শ্রেণিবদ্ধ মুসলমান: প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসকে আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান যে, অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশে, দলটি মুসলমানদের অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণ দিয়ে রাজ্যটিকে তুষ্টিকরণের পরীক্ষাগারে পরিণত করেছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, তেলেঙ্গানায় ২৬ টি জাতি দীর্ঘদিন ধরে ওবিসি মর্যাদার দাবি করে আসছে কিন্তু কংগ্রেস এটি অনুমোদন করেনি। তবে, রাতারাতি মুসলমানদের ওবিসি হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন: T20 বিশ্বকাপের জন্য টিম ইন্ডিয়ার শক্তি ও দুর্বলতা ঠিক কি? কে হবেন রোহিতের এক্স ফ্যাক্টর প্লেয়ার?
কংগ্রেস বারবার সংবিধানের অবমাননা করেছে: এদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী জহিরাবাদে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সংবিধানকে আক্রমণ করার অভিযোগও তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস বারবার সংবিধানকে অপমান করেছে। ভীম রাও আম্বেদকরের লেখা সংবিধান থেকে রামায়ণ ও মহাভারতের ছবি মুছে ফেলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, রাহুল গান্ধীর ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধী সংবিধানকে টুকরো টুকরো করে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন এবং দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে লক্ষ লক্ষ মানুষকে জেলে পাঠিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: “বেচারা” রিঙ্কুর প্রতি হল চরম অবিচার! কেন T20 বিশ্বকাপে সুযোগ পেলেন না তিনি? সামনে এল কারণ
কংগ্রেসের পাঁচটি রাজনৈতিক নীতি: পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রী মোদী এটা অভিযোগ করেছেন যে, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে উত্তরাধিকার কর আরোপ করবে। সেক্ষেত্রে বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর সন্তানদের কাছ থেকে অর্ধেকের বেশি সম্পত্তি (৫৫ শতাংশ) নিয়ে নেবে। প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও জানান, কংগ্রেস যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তার পাঁচটি রাজনৈতিক নীতি রয়েছে। সেগুলি হল, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি, মাফিয়া এবং অপরাধীদের সমর্থন করা, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি এবং দুর্নীতি।