‘আমরা বিস্মিত’, DA মামলার রায়দান কবে? মুখ খুললেন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের নেতা

Published on:

Published on:

dearness allowance(81)
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০২৫ সাল শেষের পথে। অপেক্ষা আরও বাড়ছে। ডিএ মামলার (Dearness Allowance) রায়দান কবে? আদৌ দাবি মতো কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতা (DA) মিলবে? সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে রাজ্য সরকারের কর্মচারী ও অবসরপ্রাপ্তরা। বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে শীতকালীন ছুটি চলছে। নতুন বছরে কি আদালত রায় দেবে? দিলে সম্ভাব্য সময় কবে? এই নিয়ে বড় কথা বললেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।

ডিএ মামলার রায় নিয়ে চৰ্চা | Dearness Allowance

বহু টালবাহানার পর গত ৮ সেপ্টেম্বর ডিএ মামলার (Dearness Allowance) চূড়ান্ত শুনানি সমাপ্ত হয় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তারপর বেশ কিছুটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তিনমাস অতিক্রান্ত। ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ আদালতে শীতকালীন ছুটি শুরু হয়েছে। ৫ জানুয়ারি আদালত খুলবে। সেই সময় ডিএ মামলার রায়দান হবে কি?

সুপ্রিম কোর্ট খুললে ডিএ মামলার ঘোষণা করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কবে রায়দানের সম্ভাবনা? এই বিষয়ে বার্তা দিলেন এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “কর্মচারী সমাজ দেখেছে, আমরা কিভাবে আইনি লড়াই লড়েছি। আমরা সবসময় চেষ্টা করছি ডিএ মামলার রায় বেরোবে। ”

তিনি বলেন, “জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে যখন সুপ্রিম কোর্ট খুলবে সেই সপ্তাহে রায় আসতে পারে আবার পরবর্তীকালেও দিতে পারে। আমরা অনুমান করছি রায়টা হয়তো এখনও সম্পূর্ণভাবে লেখা হয়নি। শীতকালীন ছুটির মধ্যে রায় লেখা হতে পারে। জানুয়ারি মাসের প্রথম বা দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে রায় প্রকাশ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” মলয়বাবু আরও বলেন, “আমরা জানি না সর্বোচ্চ আদালত ঠিক কোনদিন রায় দেবে। রায় কবে ঘোষণা হবে তা আমরা জানতে পারব মাত্র এক থেকে দু’দিন আগে।”

এদিকে ‘কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়’-এর আরেক শীর্ষ নেতা শ্যামল মিত্র বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘শীর্ষ আদালতের তরফে যে দ্রুততার সঙ্গে শুনানি করা হয়েছে, যে ভাবে বিচারপতিরা একের পর এক প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য সরকারের মনোভাবকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন, তার পরে এতদিন কেন ডিএ মামলার রায়দান হলো না, তা নিয়ে আমরা বিস্মিত৷”

dearness allowance(79)

আরও পড়ুন: উত্তরে ‘দুর্যোগ’! দক্ষিণবঙ্গে আরও নামবে তাপমাত্রা, বড় আপডেট আবহাওয়া দফতরের

তিনি বলেন, “আসলে আমরা সবাই আদালতের নির্দেশের জন্যই অপেক্ষা করছি।’ এবার জানুয়ারি মাসে এই মামলায় রায়দান হয় কি না সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন মামলাকারী থেকে কর্মচারীমহল। উল্লেখ্য, বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি পিকে মিশ্রর বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়েছে গত ৮ সেপ্টেম্বর। শুনানির পরে রায়দান রিজ়ার্ভ রয়েছে। এই বিশেষ বেঞ্চই মামলার রায়দান করবে।