বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে বড় ঘোষণা করল ভারতীয় রেল (Indian Railways)। হাওড়া-খড়্গপুর সেকশনে পুরনো রেল ব্রিজ নতুন করে তৈরি করা থেকে শুরু করে স্টেশন উন্নয়ন, সব মিলিয়ে এই প্রকল্পে যাত্রীদের সুবিধাই মূল লক্ষ্য বলে জানাল রেল।
বাংলায় বড় অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করল ভারতীয় রেল (Indian Railways)
ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় বড় অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করল রেল (Indian Railways)। হাওড়া-খড়্গপুর সেকশনে ৫৭ নম্বর রেল ব্রিজ নতুন করে তৈরি করার লক্ষ্যে এই অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে রেলের তরফে। রেল জানিয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় শুধু সেতুর সাবস্ট্রাকচারের পুনর্নির্মাণই নয়, দেউলটি ও কোলাঘাট স্টেশনের মাঝখানে থাকা নিউ কোলাঘাট রেলওয়ে স্টেশনের উন্নতিসাধন এবং প্ল্যাটফর্ম বড় করার কাজও করা হবে। এর ফলে যাত্রীদের জন্য সুযোগ-সুবিধা আরও উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রেলের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে কী জানানো হয়েছে?
রেলের (Indian Railways) বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৫৭ নম্বর রেল সেতুটি গত ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই অংশে রেল চলাচল স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এবার বিপুল পরিমাণ অর্থ মঞ্জুর হওয়ায় সেতুটি আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করে তোলা হবে। এতে সেতুর স্থায়িত্বও অনেকটাই বাড়বে।
রেল সূত্রে খবর, সংস্কারের পর এই রেল ব্রিজের উপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এর জেরেই জল্পনা শুরু হয়েছে, এই রুটে কি সেমি হাই স্পিড ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রেলমন্ত্রক? যদি তা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে বাংলার যাত্রীদের জন্য তা হবে বড় সুখবর।
এই প্রকল্পের অংশ হিসেবে রেল স্টেশন উন্নয়ন ও ব্রিজ পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি চতুর্থ লাইনের কাজের অনুমোদনও মিলেছে। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই এই চতুর্থ লাইনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর ফলে ভবিষ্যতে এই রুটে দ্রুতগতির ট্রেন চালানোর সম্ভাবনা আরও জোরালো হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন পার্নো? টলিপাড়ার তারকা প্রার্থীর দলবদলে জল্পনা তুঙ্গে
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সোমা দাস বোস এ প্রসঙ্গে জানান, “রেলব্রিজটি বহু পুরনো হওয়ায় বর্তমানে সেটির উপর দিয়ে কিছু ট্রেন মাত্র ৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলছে। ব্রিজটি নতুন করে তৈরি হলে ট্রেনের গতি বাড়বে। ফলে নির্ধারিত সময়ে ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছতে সুবিধা হবে।” সব মিলিয়ে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলায় রেল যাত্রা আরও দ্রুত, নিরাপদ এবং আরামদায়ক হবে বলেই মনে করছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)।












