অনিশ্চিত মুম্বইয়ের দুই বিধ্বংসী প্লেয়ার! ফাইনালের আগেই সুখবর মোহনবাগানের জন্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইতিমধ্যেই ওড়িশাকে হারিয়ে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ফাইনালে (Indian Super League) পোঁছে গিয়েছে মোহনবাগান সুপাজায়ান্টস (Mohun Bagan Super Giant)। এমতাবস্থায়, আগামী ৪ মে হতে চলা রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে মোহনবাগান এবং মুম্বাই সিটি এফসি (Mumbai City FC)। পাশাপাশি এই ম্যাচটি সম্পন্ন হবে যুবভারতীতে।

এমতাবস্থায়, ঘরের মাঠে ফাইনাল ম্যাচ খেলার ফলে সবুজ মেরুন ব্রিগেড যে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে, এবারের ISL-এর শিল্ড জয়ের ক্ষেত্রে মুম্বাই সিটি এফসিকেই পরাজিত করেছিল মোহনবাগান। সেক্ষেত্রেও ঘরের মাঠে এসেছিল সাফল্য। আর সেই জয়ের ধারা এবারেও অব্যাহত রাখতে চাইছে তারা।

Good news for Mohun Bagan before the final.

যদিও, এই ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে দু’টি দলই। সেমিফাইনালের মঞ্চে এফসি গোয়া দলকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে মুম্বাই। এই ছন্দকে সঙ্গী করেই ফাইনাল ম্যাচের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে নামবে তারা। তবে, কিছুটা হলেও চাপে রয়েছে এই দল।

আরও পড়ুন: T20 বিশ্বকাপে ইন্ডিয়া টিমে জায়গা পেয়েও মিলবে না খেলার সুযোগ! জল বইতে হবে এই ৪ খেলোয়াড়কে

এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি, মুম্বাই তাদের গুরুত্বপূর্ণ দুই ফুটবলারকে ফাইনাল ম্যাচে মাঠে পাবেনা। গত ম্যাচে কার্ড দেখে ফেলার ফলেই এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। এদিকে ওই দুই ফুটবলার হলেন ইয়োয়েল ভ্যান নিফ এবং পেরেইরা দিয়াজ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুম্বাই এগিয়ে গিয়েছিল দিয়াজের করা গোলেই। শুধু তাই নয়, ওই ম্যাচে এই ফুটবলার পরবর্তীতে একাধিকবার গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন।

আরও পড়ুন: ফুলের রাজ্য! উত্তরপ্রদেশের বিমানবন্দর দেখে “হাঁ” পিটারসেন, ভূয়সী প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রীর

যদিও, কার্ডের সমস্যার কারণে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের চূড়ান্ত ম্যাচে হয়তো খেলতে পারবেন না এই আর্জেন্টাইন ফুটবলার l সেক্ষেত্রে, কিছুটা হলেও প্রভাবিত হবে মুম্বাইয়ের আক্রমণ ভাগ। এর পাশাপাশি ভ্যান নিফের অনুপস্থিতির কারণে দলের রক্ষণভাগেও অসুবিধার সম্মুখীন হবে মুম্বাই। এমতাবস্থায় সামগ্রিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এই দুই খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিকে মাথায় রেখেই নিজেদের পরিকল্পনা সারছে মুম্বাই।

ad

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর