বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সাক্ষী থাকতে চলেছে শ্রীরামপুর। তৃণমূল, বিজেপি এবং সিপিএম- তিন দলের তরফ থেকেই এই আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির ভরসা কবীর শঙ্কর বোস, অন্যদিকে বামেরা দাঁড় করিয়েছে যুব নেত্রী দীপ্সিতা ধর (Dipsita Dhar)। আগামী ২০ মে ভোট রয়েছে এই কেন্দ্রে। তার আগে নিজের সম্পত্তির খতিয়ান (Dipsita Dhar Property) তুলে ধরলেন তিনি।
সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের কাছে হলফনামা (Dipsita Dhar Affidavit) জমা দিয়েছেন দীপ্সিতা। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে তাঁর হাতে ২০,০০০ টাকা নগদ রয়েছে। এছাড়া দিল্লির JNU ক্যাম্পাসের এসবিআই শাখার অ্যাকাউন্টে জমা রয়েছে ৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৯১০ টাকা। অন্যদিকে হাওড়ার ঘোষপাড়ার এসবিআই শাখাতেও একটি যৌথ অ্যাকাউন্ট রয়েছে বাম নেত্রীর। সেই ব্যাঙ্কে ১৮ হাজার ১৭৯ টাকা রয়েছে।
এছাড়া ভোটের খরচপাতির জন্য শ্রীরামপুরের (Serampore) ব্যাঙ্ক অফ বরোদা শাখায় রয়েছে ৩০ হাজার টাকা। সব কিছু মিলিয়ে, শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থীর (CPM Candidate) মোট অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ হল ৪ লক্ষ ৯৯ হাজার ৮৯ টাকা। যুব নেত্রী জানিয়েছেন, তাঁর নামে কোনও স্থাবর সম্পত্তি নেই।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অতীত! নতুন প্রকল্পে ৫০০০ টাকা দেবে রাজ্য সরকার, শুধু লাগবে এই কাগজ
হলফনামায় অপরাধ মামলার খতিয়ানও তুলে ধরেছেন দীপ্সিতা। সিপিএমের যুব নেত্রী জানিয়েছেন, উত্তর দিল্লি পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানা এবং দক্ষিণ দিল্লির বসন্ত কুঞ্জ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে FIR দায়ের করা হয়েছিল। এর মধ্যে একটি মামলায় মামলাকারীকে ধাক্কা এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এবং দ্বিতীয়টিতে করোনাকালে সরকার বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে দীপ্সিতার বিরুদ্ধে।
সদ্য জমা দেওয়া হলফনামায় নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার সম্বন্ধেও বিশদে উল্লেখ করেছেন শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থী। দীপ্সিতা জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে মাধ্যমিক এবং ২০১০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন তিনি। ২০১৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক পাশের পর ২০১৫ সালে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ২০১৯ সালে ওই একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিলোজফিতে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি।
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগেও সিপিএমের টিকিটে ভোট ময়দানে নেমেছিলেন দীপ্সিতা। একুশের বিধানসভা ভোটে বালি থেকে দাঁড় করানো হয়েছিল তাঁকে। তবে এবার লড়াইটা আরও বেশি কঠিন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। দুঁদে রাজনীতিবিদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেক্কা দিয়ে শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে দীপ্সিতা জিততে পারেন কিনা সেটাই দেখার।