বাংলাদেশি সন্দেহে ওড়িশায় সুতির পরিযায়ী শ্রমিককে পিটিয়ে ‘খুন’! গর্জে উঠলেন মমতা, নেওয়া হল বড় পদক্ষেপ

Published on:

Published on:

Mamata Banerjee
Follow

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশে (Bangladesh) উত্তপ্ত পরিস্থিতি। পড়শি দেশে অস্থির অবস্থার মধ্যেই বাংলা কথা বলায় বাংলাদেশি সন্দেহে খুনের অভিযোগ। অভিযোগ, বাংলা ভাষায় কথা বলায় ‘বাংলাদেশি’ বলে তকমা দিয়ে ওড়িশায় (Orissa) পিটিয়ে খুন করা হয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতি এলাকার পরিযায়ী শ্রমিক জুয়েল রানাকে। সেই ইসুতেই এবার গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

বাংলা ভাষা বলা কোনো অপরাধ নয় | Mamata Banerjee

বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর লাগাতার ‘হামলার’ প্রতিবাদে সরব তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার এক্স হ্যান্ডল পোস্টে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘প্রতিটি বিজেপি-শাসিত রাজ্যে বাংলাভাষী মানুষের উপর যে নির্মম অত্যাচার ও নিগ্রহ নেমে এসেছে আমরা তাকে তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি। বাংলা ভাষা বলা কোনো অপরাধ হতে পারে না।”

মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, “সেই সমস্ত নিগৃহীত, সন্ত্রস্ত ও অত্যাচারিত পরিযায়ী বাংলাভাষী পরিবারের পাশে আছি, সেই সব পরিবারকে আমরা সমস্ত রকম সমর্থন দেব। মানুষের জীবনের বিনিময়ে কোন মূল্য হয় না, কিন্তু যেসব ক্ষেত্রে মৃত্যু ঘটছে সেইসব ক্ষেত্রে আমাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণের অঙ্গীকার রইল।’

মমতা জানিয়েছেন, জুয়েল রানা মৃত্যুর ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ইতিমধ্যে সুতি থানায় জিরো এফআইআর রুজু করেছে। ৬ জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে সরেজমিনে সবটা খতিয়ে দেখতে রাজ্য পুলিশের একটি দল ওড়িশা যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

Mamata Banerjee

আরও পড়ুন: স্কুল বদল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত! নবম–দশমে ভর্তির নতুন নির্দেশিকা জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ

কি ঘটেছিল? অভিযোগ কি?

নিহত জুয়েল রানার সহকর্মীর বয়ান অনুসারে, গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে সম্বলপুরে তাঁদের কাছে বিড়ি চাইতে এসে কয়েকজন তাঁদের আধার কার্ড দেখতে চান। তারপরই ‘বাংলাদেশি’ সন্দেহে জুয়েলকে মারধর শুরু করেন তারা। এতটাই অত্যাচার করা হয় যে জুয়েলকে আর বাঁচানো যায়নি। তাঁর দুই সহকর্মীও মারধরের জেরে হাসপাতালে ভর্তি বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য পুলিশ। সুতি থানায় ‘জিরো এফআইআর’ দায়ের করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় ৬ জনকে।