বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিনের অপেক্ষার শেষে অবশেষে বাস্তব রূপ পেতে চলেছে। তৈরি হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রস্তাবিত দুর্গাঙ্গন। নিউটাউনে দুর্গাঙ্গন তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে চলতি মাসেই। শিলান্যাস ও ভিতপুজোর দিনক্ষণও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।
নিউটাউনে দুর্গাঙ্গনের শিলান্যাস ২৯ ডিসেম্বর
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ২৯ ডিসেম্বর নিউটাউনে দুর্গাঙ্গনের শিলান্যাস করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ওই দিনই ভিতপুজো সম্পন্ন হবে। শিলান্যাসের পরপরই শুরু হয়ে যাবে দুর্গাঙ্গন নির্মাণের কাজ।
ইউনেস্কো স্বীকৃতির পরেই ঘোষণা মমতার (Mamata Banerjee)
উল্লেখ্য, প্রায় তিন বছর আগে দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর ‘ওয়ার্ল্ড ইনট্যানজিবেল হেরিটেজ’ স্বীকৃতি পাওয়ার পর চলতি বছরের ২১ জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ঘোষণা করেছিলেন, নিউটাউনে দুর্গাঙ্গন তৈরি হবে। সেই ঘোষণার পর থেকেই প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়।
ডিসেম্বরেই ভিতপুজোর আশ্বাস
চলতি বছরের মধ্যেই দুর্গাঙ্গনের কাজ শুরু হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। গত ২ ডিসেম্বর তিনি স্পষ্ট করে বলেন, চলতি মাসেই ভিতপুজো হবে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও জানান, ডিসেম্বরেই ভিতপুজো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং মুখ্যমন্ত্রীর সুবিধাজনক দিনে অনুষ্ঠান হবে।
হিডকোর তত্ত্বাবধানে নির্মাণ, খরচ প্রায় ২৬২ কোটি
নিউটাউনে হিডকোর তত্ত্বাবধানে দুর্গাঙ্গন তৈরি হবে। এই প্রকল্পের জন্য ধার্য করা হয়েছে প্রায় ২৬১ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা। গত আগস্ট মাসে দুর্গাঙ্গনের জন্য দরপত্র বা টেন্ডার আহ্বান করে হিডকো। হিডকোর তরফে জানানো হয়েছিল, টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর কাজ শুরু হলে দু’বছরের মধ্যেই দুর্গাঙ্গন নির্মাণ শেষ করতে হবে। সব কিছু ঠিকঠাক চললে ২০২৭ সালের মধ্যেই নিউটাউনে দুর্গাঙ্গন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।

আরও পড়ুনঃ সোনায় সোহাগা! জানুয়ারিতে সরকারি কর্মীদের অর্ধেক মাসই ছুটি, দেখুন তালিকা
রাজ্যে ধর্মীয় পর্যটনের আরও বিস্তার
চলতি বছর দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হয়েছে, যা অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং আয়ও বেড়েছে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে শিলিগুড়িতে মহাকাল মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সেই ধারাবাহিকতায় এবার কলকাতায় দুর্গাঙ্গন তৈরি কলকাতাতে আরও পর্যটক মুখে করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।












