বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভোটের আগে রেল প্রকল্পে বরাদ্দ পেলে বাংলা। কারণ, রেলের তরফ থেকে নেওয়া হল এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ (Indian Railway)। দক্ষিণ পূর্ব রেলের ব্যস্ততম টাটানগর-হাওড়া রুটের যাত্রীদের জন্য এবার রয়েছে স্বস্তির খবর। বহুদিন ধরেই এইরূপে দেরিতে ট্রেন চলা, লাইনে ব্যস্ততা ও ধীর গতির মূল কারণ ছিল রূপনারায়ন নদীর উপর ১২৫ বছরের পুরনো কোলাঘাট রেল সেতু। এবার সেই সেতুকে নতুন রূপ দিতে চলেছে রেল। যার জন্য ৪৩২ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প শুরু হতে চলেছে। আর এই প্রকল্প শুরু হলে পুরো রুটের ট্রেন চলাচল আরও দ্রুত ও ঝামেলাহীন হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যাত্রী সুবিধায় ১২৫ বছরের সেতু আধুনিকীকরণ, বরাদ্দ ৪৩২ কোটি (Indian Railway)
জানা যায়, হাওড়া খড়গপুর সেকশনের ডেউ্লটি ও কোলাঘাট স্টেশনের মাঝে অবস্থিত এই সেতুতির বয়স ১২৫ বছর। ১৯০০ সালে তৈরি করা হয় এই সেতুটি। বছরের পর বছর ধরে ব্যবহারের চাপ ও জলের ক্ষয় এবং পুরনো স্টিল গার্ড এর দুর্বলতার কারণে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। আর এবার রেলওয়ে বাধ্য হয় ডাউন মেইন লাইনের মালগাড়ি ও বেশিরভাগ দূরপাল্লার ট্রেন এই সেতু দিয়ে চলাচল করা বন্ধ করতে (Indian Railway)।

আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রোতে কাজের সুযোগ! কারা আবেদন করতে পারবেন? জানুন খুঁটিনাটি
যার ফলে যাত্রীবাহী কিছু ট্রেনকে শুধু ঘন্টায় ৩০ কিমি বেগে চালানোর অনুমতি দেয়। তবে এতে বারবার দেরি হওয়ায় ও ট্রেন বাতিল এবং ভিদের সমস্যার সম্মুখীনে পড়তে হচ্ছিল যাত্রীদের। আর এই সমস্যা সমাধানের জন্যই এই মেগা প্রজেক্ট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এই মেগা প্রযেক্টের জন্য একাধিক লাইনের ব্যবহার বন্ধ হওয়ায় বর্তমানে প্রায় সব ট্রেনকে মিডল লাইনের উপর দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে এতে এই সেকশনে যাত্রী চাপ বাড়ছে। পাশাপাশি লাইনের ধারণক্ষমতা মারাত্মকভাবে কমে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এই সেতু সমস্যার জন্য নতুন সেতু তৈরি করার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। যার জন্য ৪৩২ কোটি টাকা ব্যয় তৈরি হবে এই নতুন সেতুটি। যা মনে করা হচ্ছে আগামী ১০০ বছর ধরে নিরাপদেই ট্রেন চলাচল সামলাতে পারবে। পাশাপাশি সেতুটি তৈরি হবে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে। যা আগামী ১০০ বছর ধরে নিরাপদে ট্রেন চলাচল সামলাতে পারবে।
পাশাপাশি সেতুতে ব্যবহার করা হবেকম্পোজিট স্ট্রাকচার এবং ওপেন ওয়েব গার্ডারের মতো আধুনিক প্রযুক্তি, যা গতি ও সুরক্ষা দুটোই বাড়াবে। এছাড়া পাশাপাশি কোলাঘাট স্টেশনও বদলে যাবে সম্পূর্ণ। নতুন অ্যালাইনমেন্টে উঁচু প্ল্যাটফর্ম, উন্নত যাত্রী সুবিধা এবং তিনটি লাইনে একসঙ্গে ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। এই বিষয়ে কর্মকর্তাদের দাবি, তিনটি লাইন সক্রিয় হলে এই রুটের ধারণক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে। মনে করা হচ্ছে ২০২৭ সালের মধ্যে এই নতুন ব্রিজ তৈরি করার কাজটা শেষ করা যাবে। কাজ শেষ হলে টাটানগর হাওড়া রুটে ট্রেনের গতি ও বাড়বে। পাশাপাশি ভ্রমণের সময় কম লাগবে ও যাত্রী নিরাপত্তা আরো অনেকটা বাড়বে বলে মনে করছে রেল কর্তৃপক্ষ (Indian Railway)।












