কোচিং ছাড়াই আইনের পথে সাফল্য, CLAT পরীক্ষায় উজ্জ্বল র‍্যাঙ্কে নতুন উদাহরণ

Published on:

Published on:

Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক: ছোট শহর ও সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও দেশের অন্যতম কঠিন প্রবেশিকা পরীক্ষা সিএলএটিতে অভূতপূর্ব সাফল্য (Success Story) দেখালেন দুই মেয়ে। একজনের সর্বভারতীয় ষষ্ঠ স্থান এবং অন্যজনের কোনও কোচিং ছাড়াই সিএলএটি পিজি-তে কৃতিত্ব প্রমাণ করে দিয়েছে যে অধ্যবসায় ও নিষ্ঠাই প্রকৃত সাফল্যের চাবিকাঠি।

ঋদ্ধি ও চারুপ্রজ্ঞার অসাধারণ সাফল্যের কাহিনি (Success Story)

মধ্যপ্রদেশের বালাঘাটের বাসিন্দা ঋদ্ধি আগরওয়াল সিএলএটি ২০২৬ পরীক্ষায় সর্বভারতীয় ষষ্ঠ স্থান অর্জনের পাশাপাশি মহিলা বিভাগে দ্বিতীয় ও রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। পাত্রের দোকান চালানো বাবা রাজীব আগরওয়াল ও গৃহিণী মা মাধুরীর সন্তান ঋদ্ধি দশম শ্রেণি পর্যন্ত বালাঘাটে পড়ার পর উচ্চশিক্ষার জন্য ইন্দোরে চলে যান। ২০২৪ সালের এপ্রিলে সিএলএটি প্রস্তুতির জন্য কোচিংয়ে ভর্তি হয়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত প্রস্তুতি চালিয়ে যান, যা আজ এই ঐতিহাসিক সাফল্যের রূপ নিয়েছে।

আরও পড়ুন:দুই নেত্রীর দীর্ঘ দ্বন্দ্বের অবসান, খালেদা জিয়ার প্রয়াণে আবেগঘন বার্তা হাসিনার

অন্যদিকে উত্তরপ্রদেশের কানপুরের বাসিন্দা চারুপ্রজ্ঞা কুশওয়াহা সিএলএটি পিজি ২০২৬ পরীক্ষায় সর্বভারতীয় ১৩৪তম ও ওবিসি বিভাগে ১০ম স্থান অধিকার করেছেন। ছোট মেডিকেল দোকানের মালিক সত্যপ্রকাশ কুশওয়াহার মেয়ে চারুপ্রজ্ঞা বর্তমানে ডঃ রাম মনোহর লোহিয়া জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্রী। তাঁর সাফল্যের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হল, তিনি কোনও কোচিং বা বাহ্যিক সহায়তা ছাড়াই সম্পূর্ণ স্ব-অধ্যয়নের মাধ্যমে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন।

চারুপ্রজ্ঞা শুধুমাত্র মক টেস্ট ও পূর্ববর্তী বছরের প্রশ্নপত্র নিয়মিত অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। তাঁর লক্ষ্য এখন দেশের প্রথম সারির আইন প্রতিষ্ঠান যেমন ন্যাশনাল ল স্কুল অফ ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি (এনএলএসআইইউ) বা নালসার ইউনিভার্সিটি অফ ল-এ ভর্তি হওয়া। তাঁর এই যাত্রা প্রমাণ করে যে সীমিত সম্পদ কখনও জ্ঞানের পথে বাধা হতে পারে না।

Charu and Riddhi's success story will amaze you

আরও পড়ুন:রেকর্ড শীতে কাঁপছে দক্ষিণবঙ্গ! কবে থেকে বাড়বে তাপমাত্রা? দিনক্ষণ জানাল আবহাওয়া দপ্তর

ঋদ্ধি ও চারুপ্রজ্ঞার এই যুগপৎ সাফল্য হাজার হাজার মেধাবী কিন্তু সুযোগ-সুবিধাবঞ্চিত পড়ুয়াকে নতুন করে স্বপ্ন দেখানোর পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন করে তুলছে যে সন্তানের আত্মবিশ্বাস ও পরিশ্রমই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তাঁদের গল্প অল্পতে বেশি পাওয়ার, স্বপ্নকে অক্ষুণ্ণ রাখার এবং লক্ষ্যে অবিচল থাকার এক জীবন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে রইল।