বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সপ্তাহের সাতদিনই কোনও না কোনও কারণে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। বিগত দু’দিন ধরে আবার ‘স্টিং অপারেশনে’র ভিডিও নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এসবের মাঝেই ফের একবার শেখ শাহজাহানের ‘ডেরা’য় হাজির হল সিবিআই (Central Bureau of Investigation)। সোমবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির তিন সদস্যের একটি দল হাজির হয়েছে সেখানে।
এদিন সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের দল ন্যাজাট থানার অধীন শিরিষতলায় গিয়েছে। সেখানে দীনু মণ্ডল নামের একজনের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) এবং তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে বলপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ করেছেন দীনু। এদিন তাঁর বাড়িতে জমির সংক্রান্ত নথিপত্র খতিয়ে দেখতে যান তদন্তকারীরা।
জানা যাচ্ছে, কাগজপত্র খতিয়ে দেখার পর অভিযোগকারী ওই ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর জমিও ঘুরে দেখেন সিবিআই আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, বসিরহাটের বুকে জমি দখলের মামলার (Land Grab Case) তদন্তভার বর্তমানে সিবিআইয়ের হাতে রয়েছে। গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, ইমেলের মাধ্যমে বলপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ জানিয়েছিলেন শিরিষতলা নিবাসী দীনু। সেই অভিযোগ পেয়েই আজ তাঁর বাড়িতে উপস্থিত হন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মেনে চলতে হবে আদর্শ আচরণ! কী কী করতে হবে? বিরাট নির্দেশ হাই কোর্টের
এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়েই দীনুর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। প্রথমে তাঁর বাড়ি গিয়ে জমির কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন গোয়েন্দারা। এরপর তাঁকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর জমিও ঘুরে দেখেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল সন্দেশখালির নারী নির্যাতন এবং জমি সম্বন্ধিত মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বলা হয়, অভিযোগ নেওয়ার জন্য একটি পোর্টাল খুলতে হবে। সেই সঙ্গেই নির্দেশ দেওয়া হয়, সিবিআইয়ের কাছে সন্দেশখালির নিপীড়িতারা কীভাবে অভিযোগ জানাবেন সেটা রাজ্য সরকারকে সন্দেশখালি জুড়ে প্রচার করতে হবে।
এদিকে গত সপ্তাহে সন্দেশখালি কাণ্ডে হাই কোর্টের কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে সিবিআই। সেদিন প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে রিপোর্ট জমা দেন তাঁরা। আদালতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, জমির রেকর্ড সম্বন্ধিত বিষয়ে রাজ্য সহযোগিতা করছে না। তাঁদের দাবি, জমি কেড়ে নেওয়া সম্বন্ধিত বিষয়ে প্রায় ৯০০টি অভিযোগ আছে। রাজ্য যদি সহযোগিতা না করে তাহলে তদন্তে দেরি হবে। একথা শুনে হাই কোর্ট বলেন, সন্দেশখালি কাণ্ডের তদন্তে রাজ্যকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে হবে।