বছর শেষেও বরফ গলল না! ‘আমি তো ওঁর মনের মধ্যে ঢুকে নেই’, TMC বিধায়ক অসিতকে নিয়ে বিরক্ত রচনা

Published on:

Published on:

Follow

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বছরের শেষে এসেও বিবাদ মিটল না হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachna Banerjee) এবং চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। সারা বছরই বিভিন্ন সময়ে তর্ক বিতর্কে জড়িয়েছেন দুজনে। বুধবার অসিত মজুমদারের প্রসঙ্গ উঠতেই ফের ফুঁসে উঠলেন রচনা। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, আগামীতে চুঁচুড়ার বিধায়কের কোনও কর্মসূচিতেই দেখা যাবে না তাঁকে। তিনি তাঁর মতো থাকবেন আর বিধায়ক তাঁর মতো।

বিবাদ অব্যাহত রচনা (Rachna Banerjee) অসিতের

একই রাজনৈতিক দলের সদস্য হলেও দুজনের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত একটি স্কুলের ক্লাসঘর তৈরি নিয়ে। প্রকাশ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। পরে অবশ্য বিধায়ক রচনাকে ‘বোনের মতো’, ‘মায়ের মতো’ বললেও মেটেনি বিবাদ। গত বছর থেকে চুঁচুড়া বিধানসভা উৎসব শুরু করেছেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। গতবার সেই মেলায় শাড়ির স্টলও দিয়েছিলেন রচনা।

Rachna Banerjee on mla asit majumdar

বিধায়কের খুঁটিপুজোয় অনুপস্থিত রচনা: এবারের উৎসবের জন্য বুধবার খুঁটিপুজো করেছেন বিধায়ক। কিন্তু হুগলিতে থেকেও সেখানে দেখা মেলেনি রচনার। সে বিষয়ে প্রশ্ন করতেই সাংসদের সাফ জবাব, ‘উনি যেটা ভালো মনে করেন সেটাই করুন। ওঁকে ওঁর মতো থাকতে দাও, আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’। রচনা (Rachna Banerjee) আরও বলেন, বিধায়কের কোনও অনুষ্ঠানে তিনি যান না। আগামীদিনেও যাওয়ার ইচ্ছা নেই।

আরও পড়ুন : ২০২৫ শেষ, আর ৫ দিন পর DA মামলার রায়দান করবে সুপ্রিম কোর্ট? জানুন আপডেট

কী বললেন সাংসদ: রচনার কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের দুজনকেই ভোটের টিকিট দিয়েছেন। তিনি তাঁর লোকসভার সমস্ত অনুষ্ঠানে বিধায়ককে ডাকবেন। তিনি আসবেন কিনা সেটা তাঁর ব্যাপার। রচনা কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমি তো ওঁর মনের ভেতরে ঢুকে নেই। আমার অনুষ্ঠানে ওঁর নাম থাকে। কিন্তু উনি না এলে আমি কী করব?’

আরও পড়ুন : CBSE দশম-দ্বাদশের ৩ মার্চের পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত, নতুন তারিখ কবে?

বুধবার বিধায়ক অসিতের খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠান থেকে কিছুটা দূরেই কম্বল বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করেন সাংসদ রচনা। সেই কর্মসূচি থেকে তিনি বলেন, চুঁচুড়া পুরসভার অনেক কাউন্সিলরকে ঠিকমতো কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে তাঁদের অনেক ক্ষোভ রয়েছে। রচনা এও বলেন, এখানে দলের শহর সভাপতি, কাউন্সিলর যারা আছেন সকলেই খুব ভালো কাজ করেন। তাঁর একটাই লক্ষ্য, মানুষের পাশে থেকে কাজ করার। বিধায়কও দলের নির্দেশ অনুযায়ীই কাজ করবেন বলে আশা রচনার।