‘২০২২ সালে কেন…’, রাজ্যকে সরকারকে ভর্ৎসনা প্রধান বিচারপতির, SSC মামলায় তোলপাড়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ SSC ২৬০০০ চাকরি মামলায় (SSC Recruitment Scam) আদালতে জোর সওয়াল রাজ্যের। সুপারনিউমেরিক পদের মাধ্যমে কোনওভাবেই আদালতকে বোকা বানাতে চায়নি রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে সওয়াল রাজ্যের আইনজীবীর। আইনজীবীর দাবি, শুধুমাত্র চাকরি বাতিলের পর ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ করতে পরে ৬ হাজার ৮৬১টি সুপারনিউমেরিক পদ তৈরি করা হয়।

রাজ্যের বক্তব্য শুনতেই ফের প্রশ্ন ছোড়ে সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০১৯ প্যানেলের মেয়াদই শেষ। ২০২১ সালে মামলা দায়ের। বলতে চাইছেন ৬ বছর পরে কোনও ওয়েট লিস্টেড প্রার্থী বেআইনি অভিযোগ তুলে চাকরি চাইতে পারবেন না। কেন নিয়োগের ছবছর পর ২০২২ সালে এসে অতিরিক্ত পদ তৈরী করা হল প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির।

জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, “কোনও খারাপ অভিসন্ধি ছিল না”, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে রাজ্য কোনওভাবেই যুক্ত নয়, নিয়োগ করে এসএসসি। রাজ্যের আইনজীবীর সওয়াল, “সুপারনিউমেরিক পোস্ট নিয়ে মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অথচ এই পদ নিয়ে আগেই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশের ওপর সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছে।”

প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কোনও দুর্নীতি খুঁজে পাওয়া গিয়েছে কিনা। রাজ্যের আইনজীবী সাফ সাফ জানান, “না, পাওয়া যায়নি।” মন্ত্রিসভা শুধুমাত্র ওয়েটিং লিস্ট থেকে সুপারনিউমেরিক পদে নিয়োগ করতে বলেছিল। তাহলে মন্ত্রিসভা কী ভাবে অপরাধ করল? চাকরি বাতিল হাই কোর্টের এক্তিয়ারে পড়ে না বলে আদালতে সওয়াল করেন এসএসসির আইনজীবী।

da arrear case supreme court

আরও পড়ুন: অভিজিৎ, দেবাংশু নাকি সায়ন, সম্পত্তির নিরিখে এগিয়ে তমলুকের কোন প্রার্থী? সবচেয়ে বড়লোক কে?

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের নির্দেশেই সিবিআই তদন্ত করছে। ওই তদন্তের আওতায় সুপারনিউমেরিক পোস্টও রয়েছে। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের বক্তব্য না শুনেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তদন্তের জন্য মন্ত্রিসভার সদস্যদের হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই। যার ফলে সরকারের সকলেই সিবিআই তদন্তের আওতার মধ্যে পড়ে যান। রাজ্যের আইনবিভাগ এবং রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলও এর মধ্যে পরেন।

‘‘মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে বেনিয়মের কোনও প্রমাণই নেই। তারা শুধুমাত্র সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বৈঠক করেছিল। কার্যকর করা হয়নি কিছু। এরপরও মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হলে সংসদীয় গণতন্ত্র কোথায় যাবে, কী করবে?’’ সওয়াল রাজ্যের। এদিন গোটা দুর্নীতির মামলায় এসএসসির দিকে দায় ঠেলেছে রাজ্য। দুপুর দুটোয় এই মামলার পরবর্তী শুনানি।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর