বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের মুখে নাকের (Nose) গুরুত্ব অপরিসীম। নিশ্বাস নেওয়ার জন্য তো বটেই, মুখের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও নাকের যথেষ্ট গুরুত্ব থাকে। পঞ্চেন্দ্রিয়র অন্যতম এই নাক। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে এই নাকের আকৃতি দেখে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব (Personality) সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। ওই ব্যক্তিটির মনে কী চলছে তাও বোঝা যায় নাকের গড়ন দেখে।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে যে সকল ব্যক্তির গায়ের রঙের থেকে নাকের রঙ খানিকটা গাঢ় হয় তারা খুব পরিশ্রমী হয়ে থাকেন। তবে এই ধরনের মানুষদের জীবনে খুব স্ট্রাগল করতে হয়। অত্যন্ত পরিশ্রমের সাথে এনারা জীবনকে পরিচালনা করেন। সারা জীবন এই ধরনের মানুষদের পিছু ছাড়েনা কষ্ট, যন্ত্রণা, স্ট্রাগল, দুঃখ। এই ধরনের মানুষরা বিবাহিত জীবনে সুখী হয়ে থাকেন সাধারনত। তবে শেষ জীবনে এই ধরনের মানুষদের জীবন কাটে একাকীত্বে।
আরোও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকেই হবে নতুন পরিবর্তন! রাজ্যের পেনশনার, সরকারি কর্মীদের জন্য বড় আপডেট
ছোট নাকের সাথে হালকা সবুজাভ বা কালচে শিরা যাদের দেখা যায় তারা খেটে খাওয়া মানুষ। এই ধরনের মানুষেরা অত্যন্ত সৎ, পরিশ্রমী ও নির্ভীক হয়ে থাকেন। তবে এই ধরনের মানুষদের সারা জীবন দুঃখ ও অভাব লেগে থাকে। যে সকল ব্যক্তির সামনের নাকের অংশ একটু ব্যাঁকা তারা অত্যন্ত চালাক ও শয়তান মনোভাবাপন্ন হয়ে থাকেন। এই ধরনের মানুষদের জীবনে দুঃখ লেগে থাকে। এমনকি কারাবাসও হতে পারে। এই ধরনের মানুষেরা পিছন থেকে মানুষের ক্ষতি করে।
আরোও পড়ুন : ‘আর কতক্ষণ’! এই কাজটি করার সময়েই তাড়া দিতেন ‘দাদা’, সৌরভকে নিয়ে মন্তব্য অভিমানী ডোনার
বড় নাকের অধিকারীরা হাসি ও সচ্ছলতার সাথে জীবন কাটান। এই ধরনের মানুষদের ইগো কিছুটা বেশি হয়। এই নাকের অধিকারীরা বাস্তববাদী, নেতৃত্ব দিতে পটু ও স্বাবলম্বী হয়ে থাকেন। আকর্ষণীয় চরিত্রের অধিকারী হয়ে থাকেন পাতলা নাকের অধিকারীরা। এই ধরনের মানুষদের নিয়ে সবার মনে থাকে কৌতুহল। সব জায়গার লাইম লাইট কেড়ে নিতে পারেন এরা।
নাক চওড়া ও নাকের ফুটো বড় হলে তাকে বলা হয় নিউবিয়ান নাক। এই ধরনের মানুষদের নেতৃত্ব প্রদান করার ক্ষমতা থাকে। এরা সম্মান ও সম্পদের অধিকারী হন। খুব আবেগপ্রবণ হয়ে থাকেন সোজা নাকের অধিকারীরা। সর্বদা এরা অন্যদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেন। অন্যদের কষ্টে দুঃখিত হন। সাধারণ জীবন কাটাতে ভালবাসেন এই ধরনের মানুষেরা।