খাওয়া-ঘুম থেকে শুরু করে অফিসের কাজ, ট্রেনেই জীবন কাটাচ্ছেন এই যুবক! কত হচ্ছে খরচ?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ট্রেনে (Train) চড়ে সফর করতে কে না পছন্দ করেন? অনেকেই তাই দীর্ঘ সফরের ক্ষেত্রে বেছে নেন রেলপথকেই। কিন্তু, আপনি কি কখনও কাউকে ট্রেনেই তাঁর জীবন অতিবাহিত করতে দেখেছেন? হ্যাঁ, প্রথমে এই প্রশ্নটি পড়ে চমকে গেলেও বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি কার্যত তৈরি করেছেন নজির। শুধু তাই নয়, তিনি ট্রেনেই নিশ্চিন্ত তাঁর জীবন অতিবাহিত করছেন। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও (Social Media) ভাইরাল (Viral) হয়েছেন তিনি।

মূলত, যিনি এই অনবদ্য নজির তৈরি করেছেন তিনি হলেন ল্যাসে স্টোলি (Lasse Stolley)। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ট্রেনে দিন-রাত কাটিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন তিনি। জার্মানির বাসিন্দা ল্যাসে এখন নিয়মিতভাবে দিন অতিবাহিত করছেন ট্রেনের মধ্যেই। সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে ঘুম এমনকি জামাকাপড় ধোয়া পর্যন্ত প্রতিটি কাজই তিনি করছেন ট্রেনে। এমনকি, ট্রেনে অনায়াসে অফিসের কাজও সেরে ফেলছেন স্টোলি।

কত হয় খরচ: এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, স্টোলি ২০২২ সালে তাঁর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন। স্টোলির বাড়ি উত্তর জার্মানির ফোচবাখ শহরে। জানা গিয়েছে, স্টোলি ট্রেনে থাকার জন্য ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ৮.৩ লক্ষ টাকা খরচ করেন। নিউ ইয়র্ক পোস্টের মতে, ১০ হাজার ডলার দিয়ে স্টোলি ১ বছরের জন্য আনলিমিটেড টিকিট কিনে ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারেন।

আরও পড়ুন: চাকরি বাতিলে স্থগিতাদেশ মিলতেই স্বস্তি পেলেন মমতা! মানসিকভাবে “তৃপ্ত” হয়ে জানালেন….

এদিকে, ট্রেনে থাকার জন্যে তিনি সমস্ত কিছু ভালোভাবে পরিকল্পনা করে রাখেন। স্টোলি প্রতিদিন জার্মানি থেকে ইউরোপের আশেপাশে ৬০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করেন। তাও এসি ফার্স্ট ক্লাসে। ভ্রমণের আগে, স্টোলি অ্যাপের সাহায্যে ট্রেনের রুট চেক করে তারপর সিদ্ধান্ত নেন যে কোন ট্রেন ধরবেন। এরপর তিনি তাঁর পছন্দমতো ট্রেন ধরে নেন। দিনের বেলা তিনি প্রায়শই কমিউটার ট্রেনে ভ্রমণ করেন এবং রাতে তিনি এমন একটি ট্রেনে চড়েন যেটি সকালের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে যায়।

আরও পড়ুন: চিনের লুকোচুরির দিন শেষ! ড্রাগনকে কড়া বার্তা দিয়ে সমুদ্রে পূর্বাঞ্চলীয় বহর মোতায়েন ভারতীয় নৌবাহিনীর

এইভাবে কাটে দিন: জানিয়ে রাখি যে, স্টোলি ট্রেনের মধ্যে সবকিছু অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ম্যানেজ করেন। সকালে তিনি ডাইনিং কারে তাঁর প্রাতরাশ সেরে ফেলেন। স্নান করার জন্য তিনি রাস্তার পাশে থাকা যেকোনো কমিউনিটি সেন্টার বা পাবলিক সুইমিং পুলে যান। সিঙ্কে জামা-কাপড় ধুয়ে নিয়ে ট্রেনের ভেতরেই তিনি তাঁর কাজ করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, স্টোলি পেশায় একজন সফ্টওয়্যার কোডার। যিনি সারাদিন যাত্রীদের মধ্যেই তাঁর ল্যাপটপে কাজ করে যান। এদিকে, রাতে তিনি সিটে কম্বল ও বালিশ নিয়ে কানে নয়েজলেস হেডফোন পরে ঘুমিয়ে পড়েন।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর