বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শুক্রবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান তিনি। এরপর সেখান থেকে বেরিয়েই শ্লীলতাহানি ইস্যুতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (Governor CV Ananda Bose) একহাত নেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
বৃহস্পতিবার ঘটনার দিনের ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটের একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখায় রাজভবন (Raj Bhavan)। সেই ফুটেজে রাজভবনের মূল গেটের পুলিশ আউটপোস্ট সংলগ্ন দু’টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা গিয়েছিল। এবার সেই ফুটেজের প্রেক্ষিতে অভিষেক বলেন, ‘করিডোরের ভিডিও দেখান। আপনার চেম্বার থেকে যখন অভিযোগকারিণী বেরিয়েছেন, ক্ষমতা থাকলে সেই ভিডিও প্রকাশ করুন’।
তৃণমূল (TMC) সেনাপতি এদিন বলেন, ‘এই যে উনি সিসিটিভি ফুটেজটা দেখিয়েছেন… অভিযোগকারিণীকে অসম্মানিত করেছেন, ছোট করেছেন। একজন মহিলার শ্লীলতাহানি করে, যৌন হেনস্তা করে… উনি যখন কাঁদতে কাঁদতে পুলিশ আউটপোস্টে অভিযোগ করতে যাচ্ছে, সেই ফুটেজ আপনি কেন দেখাচ্ছেন? করিডোরের ভিডিও দেখান। আপনার চেম্বার থেকে যখন অভিযোগকারিণী বেরিয়েছেন, ক্ষমতা থাকলে সেই ভিডিও প্রকাশ করুন’।
আরও পড়ুনঃ ফাইভ পাশ, নিজের বাড়ি-গাড়ি কিছুই নেই! BJP প্রার্থী রেখার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স জানলে চোখে জল আসবে
অভিষেকের সংযোজন, ‘সংবাদমাধ্যমের কয়েকজন প্রতিনিধিকে বেছে নিয়েই আপনি দেখান। তৃণমূলকে আপনাকে দেখাতে হবে না। আইনি পথে আপনার বিরুদ্ধে কিছু করা যায় না মানে আপনি যা ইচ্ছা করবেন? আপনি কি আইনের ঊর্ধ্বে? আপনার মেয়ের থেকেও ছোট, একখানি নিকৃষ্ট। এঁদের বিরুদ্ধে যতটা কম বলা যায়, ততটাই মঙ্গল’।
এখানেই না থেমে এরপর কথার সূত্রে রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের প্রসঙ্গও টেনে আনেন তৃণমূল নেতা। অভিষেক বলেন, ‘এর আগেও অনেক রাজ্যপাল দেখেছি। বাংলা-বিরোধী রাজ্যপালও দেখেছি। আগে জগদীপ ধনখড় ছিলেন। তবে কেউ এতখানি নীচে নামেনি যে মেয়ের বয়সী একজনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে শ্লীলতাহানি করতে পারে? রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি বলে আমি যা খুশি তা করব, এটা হতে পারে না’।
অন্যদিকে গতকাল রাজভবনের তরফ থেকে ফুটেজ দেখানোর পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিযোগকারিণীও। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে উনি কী অন্যায় করেছেন সেটা রাজ্যপাল নিজেও জানেন। সেই কারণে ভয় দেখিয়ে রাজভবনের কর্মীদের উনি চুপ করিয়ে রেখেছেন। এমনকি আমায় ভয় দেখাতে লোকও পাঠিয়েছিলেন উনি। ভারতীয় আইন বলে, অভিযোগকারিণীর পরিচয় প্রকাশ না করে তথা গোপন রেখে তদন্ত হওয়া উচিত। তবে নিজের দোষ ঢাকা দেওয়ার জন্য উনি আমার ও আমার পরিবারের অসম্মান করলেন। এখন যে ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে, সেখানে আমায় দেখা যাচ্ছে। রাজ্যপাল আর কতটা নীচে নামবেন?