বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার রাজ্যে চতুর্থ দফার লোকসভা ভোট। আগামীকাল বাংলার ৭টি আসনে নির্বাচন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল বীরভূম (Birbhum)। অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে এবার ভোট হতে চলেছে তাঁর ‘গড়ে’। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, কেষ্টকে ছাড়া বীরভূমে ঘাসফুল ফোটাতে বেশ বেগ পেতে হবে তৃণমূলকে। শতাব্দী রায়ের (Satabdi Roy) লড়াইটা এবার খুব একটা সহজ হবে না বলে মত অনেকের।
আগামীকাল ভোট (Lok Sabha Election 2024)। তার আগে শেষবেলার প্রচার সেরে ফেললেন শতাব্দী। শনিবার মহম্মদবাজার ব্লক এলাকার মগদমনগর গ্রামে প্রচারে জান তৃণমূল (TMC) প্রার্থী। সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। পানীয় জলের সমস্যা, বেহাল রাস্তাঘাট, উন্নয়নে খামতি সহ একাধিক অভাব অভিযোগের কথা শুনতে হয় শতাব্দীকে।
বীরভূমের তিনবারের সাংসদ শতাব্দী। এবারও তাঁর ওপর আস্থা রেখেছে তৃণমূল শিবির। প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রচার করছেন তিনি। বহুবার প্রচারে বেরিয়ে ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে জোড়াফুল প্রার্থীকে। শেষবেলায় এসেও দেখা গেল একই চিত্র।
আরও পড়ুনঃ টাকার বিনিময়ে চাকরির জাল নিয়োগপত্র, কষ্টের উপার্জন ফেরত চাইতেই হুমকি! TMC নেতার ‘পর্দাফাঁস’
গতকাল মগদমনগর গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসীর একাধিক অভিযোগ শুনতে হয় শতাব্দীকে। গাড়ির সামনের সিটে বসে ছিলেন বীরভূমের বিদায়ী সাংসদ। গাড়ির দরজা খুলে গা-দানিতে দাঁড়িয়ে জনসংযোগও করতে দেখা যায় তাঁকে। আর সেই সময়ই এলাকার লোকজনেরা একের পর এক অভিযোগ করতে শুরু করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া পিয়া সর্দার বলেন, ‘সবাই টাকা পেলেও আমি কেন পাই না? আমার স্কুলের প্রত্যেকে টাকা পায়। অথচ আমি ক্লাস সিক্স থেকে টাকা পাই না। ওনাকে ওই বিষয়েই বললাম। উনি তো পাল্টা কিছুই বললেন না’। আর একজন মহিলা আবার বলেন, ‘দিদি তো কিছু শোনেই না। কথাই বলতে পারলাম না। আমাদের কথা না শুনলে আর কার কথা কথা শুনবে? আমরা কিছুই পাইনি’।
শতাব্দীকে হাতের নাগালে পেয়ে এলাকাবাসীরা একাধিক ক্ষোভ উগড়ে দিতে শুরু করলে স্থানীয় নেতাদের পরিস্থিতি সামাল দিতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, বীরভূম ছাড়াও আগামীকাল রাজ্যের আরও ৫টি আসনে ভোট রয়েছে। কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বোলপুর, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান দুর্গাপুর এবং আসানসোল কেন্দ্রে নির্বাচন রয়েছে কাল।