বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কিছুদিন ধরে একের পর এক স্টিং ভিডিও ঘিরে উত্তাল ছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। আর রবিবারের ঘটনা ছাপিয়ে গেল সেই উত্তাপকেও। ভোটের মাঝেই ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। নেপথ্যে বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের ভাইরাল একটি ভিডিয়ো, আর নির্যাতিতার বয়ান বদলের অভিযোগ। এই দুই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই ধুন্ধুমার অবস্থা।
সন্দেশখালিতে ভাইরাল হওয়া একাধিক স্টিং ভিডিও নিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল বিজেপি, অন্তত এমনটাই দাবি তুলছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে এদিন ধরা দিল অন্য চিত্র। রবিবার বিজেপির থানা ঘেরাও থেকে শুরু করে মহিলা বিক্ষোভ, বিধায়ক ঘেরা, এমনকি বিধায়কের সামনেই তৃণমূল নেতাকে মাটিতে ফেলে মারধর সন্দেশখালির মহিলাদের। সবমিলিয়ে নতুন করে ফুঁসে উঠল গোটা এলাকা।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্থানীয় বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়ালের ভাইরাল ভিডিও সামনে এনেছে তৃণমূল। যেখানে দেখা যাচ্ছে ওই বিজেপি নেতা বলছেন সন্দেশখালির গোটা ঘটনার পরিকল্পিত, সবটাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নির্দেশ ও পরামর্শে হয়েছে। যদিও সেই ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে নি বাংলাহান্ট।
অন্যদিকে প্রকাশ্যে এসেছে নির্যাতিতারা তাদের বয়ান বদল করছে এমন ঘটনাও। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল জোর করে টাকা দিয়ে নির্যাতিতাদের বয়ান বদল করছে। শাসকদলের কারসাজি এসব। আর এই ঘটনার সূত্র ধরেই সামনে উঠে আসছে দিলীপ মল্লিকের নাম। এই দিলীপ সন্দেশখালির স্থানীয় তৃণমূল নেতা। তাকে ঘিরেই উঠছে বিস্ফোরক সব অভিযোগ।
গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, এই দিলীপ মল্লিকই নির্যাতিতাদের কলকাতায় তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতনের বয়ান বদল করাচ্ছেন। প্রভাব খাটিয়ে এসব করছেন শাসকদলের নেতা। এদিন রবিবার দুপুরে সন্দেশখালি থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। ঘেরাও হয় থানা। সূত্রের খবর সেই সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার এবং শাসকদলের কয়েক জন নেতা-কর্মী দিলীপের বাড়িতে বৈঠক করছিলেন। সেই সময় বিজেপির মহিলা কর্মী-সমর্থক ওই বাড়িতে চড়াও হন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, মহিলারা গিয়েই মারধর করেন দিলীপকে। বিধায়কেরও ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর ভুয়ো ভিডিও বানানোর অভিযোগে তাতান নামে এক তৃণমূল কর্মীকে টেনে ধরে এনে মাটিতে ফেলে মারধর করা হয়। মহিলাদের কথায়, “তৃণমূলের লোকেরা আমাদের বিরক্ত করছে। পাড়ায় গিয়ে রাতে মহিলাদের ফোন করে উত্ত্যক্ত করছে।”
আরও পড়ুন: জল জমার দিন শেষ! বন্যা হলেও চিন্তা নেই কলকাতাবাসীর, বিরাট পদক্ষেপ পুরসভার
যদিও সন্দেশখালির মহিলাদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দিলীপ মল্লিক। পাল্টা তিনি বলেন, “আমি কাউকে নিয়ে কলকাতায় যাইনি। যদি কোনও মায়েরা সৎ সাহস নিয়ে একথা বলেন, তাহলে সে দায় তার। সে সৎ সাহস আছে তার।” তৃণমূল নেতার অভিযোগ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পায়ের তলার মাটি আলগা হচ্ছে দেখে পরিকল্পিতভাবে মহিলাদের জড়ো করে নিয়ে এসে অশান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে। রেখা পাত্র এসব করছে।”