বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে একাধিক যুব নেতা-নেত্রীকে টিকিট দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya)। যার মাধ্যমে বাংলার বুকে ঝড় তুলেছিল ‘খেলা হবে’ স্লোগানটি, এবার তাঁর কাঁধেই তমলুকে ঘাসফুল ফোটানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ষষ্ট দফায় নির্বাচন রয়েছে তমলুকে (Tamluk)। তার আগে কার্যত দিনরাত এক করে প্রচার করছেন জোড়াফুল প্রার্থী।
রোজ সকালে উঠে একটু চা, অল্প খাবার খেয়ে বেরিয়ে পড়েন প্রচারে। স্নান সেরে ৭টার মধ্যে বেরিয়ে যান দেবাংশু। মঙ্গলবার যেমন হলদিয়া বিধানসভা এলাকায় প্রচার করতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গাচক স্টেডিয়ামের কাছে প্রচার কর্মসূচির জন্য গিয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) এই যুব নেতা। সেখানেই খুল্লমখুল্লা বিয়ের (Marriage) প্রস্তাব দেওয়া হয় তাঁকে।
গতকাল দেবাংশু মঞ্চে ওঠার পর তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে সম্বর্ধনা জানান দলের কর্মীরা। সেই সময়ই একজন মহিলা কর্মী আচমকা বলে ওঠেন, ‘আপনি বিপুল ভোটে জয়ী হতে আসুন। আপনার জন্য পাত্রী খুঁজে রাখা হয়েছে। বিয়ে করলে উন্নয়ন চাইব’।
আরও পড়ুনঃ বাতিল হয়ে যাবে সায়নীর প্রার্থীপদ? হলফনামায় গরমিল, একই অর্থবর্ষে দু’রকম আয় তৃণমূল নেত্রীর
দলের কর্মীর থেকে এভাবে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে খানিক লজ্জা পেয়ে যান দেবাংশু। যদিও চুপ করে যাননি তিনি। বরং বলেন, ‘আমার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটে দাঁড় করিয়েছেন। আমার বয়স খুব কম। সবে মাত্র ২৮ বছর। আমি এই বয়সে পাত্রীর কথা জেনে কী করব বলুন তো? আরও ৪-৫ বছর কাটুক’।
এখানেই না থেমে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, এত কম বয়সে ‘খুঁটিতে বাঁধা পড়তে’ চান না তিনি। দেবাংশুর কথায়, ‘এত তাড়াতাড়ি খুঁটিতে বাঁধা পড়ে কি লাভ আছে? একটু ঘুরতে, দৌড়তে চাই। যদি এখনই একজন সঙ্গে চলে আসে তাহলে তো মানুষের মাঝে সময় দিতে পারব না। আপাতত পাঁচ বছর আমায় ছুটতে হবে, দৌড়তে হবে। তমলুকের মানুষের জন্য আমায় অনেক কিছু করতে হবে’।