দার্জিলিংয়ের এই অফবিট লোকেশন যেন ঝর্ণার গ্রাম! ঘুরতে গেলে হারিয়ে যাবেন এখানকার অপরূপ রূপে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গরমকাল মানেই ভ্রমন প্রিয় বাঙালির প্রথম পছন্দ দার্জিলিং। প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে। এবছরও তার ব্যাতিক্রম নয়। দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) বিভিন্ন টুরিস্ট স্পটে পর্যটকদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো। তবে আজকাল অনেক পর্যটক সন্ধানে রয়েছেন অফবিট জায়গার।

দার্জিলিংয়ের কথা উঠলেই আমাদের চোখের সামনে  ভেসে ওঠে তেনজিং-রকের স্মৃতিস্তম্ভ, শরণার্থী কেন্দ্র তিব্বতিয়ান সেলফ হেল্প সেন্টার, ৮০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত দার্জিলিং গোরখা স্টেডিয়াম, দার্জিলিং মিউজিয়াম, আভা আর্ট গ্যালারি, শতবর্ষের প্রাচীন দিরদাহাম টেম্পল, গঙ্গামায়া পার্ক, কাঞ্চনজঙ্ঘা, ভিক্টোরিয়া ফলস ইত্যাদি।

আরোও পড়ুন : একটানা ২১ ঘন্টা! কলকাতা এয়ারপোর্ট থেকে উড়বে না একটাও বিমান, ‘রেমালে’র জেরে জেরবার যাত্রীরা

এই অফবিট জায়গাগুলিতে পর্যটকদের আনাগোনা অনেকটাই কম। তাই নিশ্চিন্তে কয়েকটা দিন নিরিবিলিতে কাটানো যায় এই জায়গাগুলোতে। আজ আমরা দার্জিলিংয়ের এমনই একটি অফবিট জায়গা সম্পর্কে আপনাদের জানাতে চলেছি। অনেকেই এই জায়গাটিকে ঝর্ণা গ্রাম বলে ডেকে থাকেন। 

আরোও পড়ুন : কালীঘাটে ধুন্ধুমার! CPM-র প্রচারে পুলিশি বাধা! ‘গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে’, তোপ মীনাক্ষীর

এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামটির নাম সাকিয়ং। এই গ্রামে হাতে গোনা কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। তবে এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবর্ণনীয়। যারা সমুদ্রে ঘুরতে গেছেন তারা সামুদ্রিক কাঁকড়া দেখেছেন অনেক। তবে পাহাড়ি কাঁকড়া দেখেছেন কখনো? একটি ছোট্ট পাহাড়ি নদী রয়েছে সাকিয়ংয়ে। সেই নদীর উপর যে সেতু রয়েছে সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির কাঁকড়া দেখা যায়।

এই নদীর শীতল জলে পা ডুবিয়ে কাটিয়ে দেওয়া যায় ঘন্টার পর ঘন্টা। বেশ কিছু হোমস্টে রয়েছে এই নদীর পাড়েও। এই হোমস্টেগুলিতে রাত কাটানোর জন্য রয়েছে বেশ সুযোগসুবিধা। পেডং থেকে কাগে যাওয়ার রাস্তায় ৩ কিলোমিটার এগোলেই রয়েছে সাকিয়ং। দার্জিলিং বা পেডং থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে চলে আসতে পারেন এখানে।

Sakyong one of Dzongus most remote villages at an elevation of 1700 m Photo credit

খরচা হতে পারে ৫০০ টাকা মতো। এই গ্রামে বেশি পরিবারের বাস নেই। তাই অত্যন্ত শান্ত পরিবেশে কাটাতে পারবেন আপনার ছুটি। অফবিট জায়গা হলেও এখানে বেশ কিছু হোমস্টে রয়েছে। এখানে আপনারা রাত কাটাতে পারেন। পর্যটকদের জন্য হোমস্টেগুলিতে রয়েছে বিভিন্ন সুযোগসুবিধা। এই হোমস্টেতে থাকার খরচও সাধ্যের মধ্যে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর