সৌগত মণ্ডল ও সৌতিক চক্রবর্তী, বোলপুর,বীরভূম: – বীরভূমে বােলপুর থেকে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত পাঁচশােয়া গ্রাম । এই গ্রামে প্রতি বছরের মতাে এবারেও অনুষ্ঠিত হচ্ছে ধর্মরাজ পূজা । এই গ্রামে এই পূজাতে সবাই আনন্দে মেতে থাকে । প্রতি বছর এই পূজা বৈশাখ মাসে পূর্ণিমা তিথিতে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে । এই ঠাকুরকে আনা হয় পাঁচশােয়া গ্রামেই অবস্থিত যাত্রাসিদ্ধি মন্দির থেকে । এই পূজাতে প্রায় অনেক দোকান পাটও বসে । বসে নাগরদোলা , ফানুস ইত্যাদি । এই পুজো ৫ দিন হয়ে থাকে । এই পুজোতে নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে থাকে । এই ঠাকুরের ভক্তের সংখ্যা প্রায় ১০০০ । এই পূজা তে ঢাক থাকে ২০ টি । এই ঠাকুরের দেয়সি রা এই পুজো অনুষ্ঠিত করেন । কিন্তু পূজা করেন পুরােহিতরাই । ভক্তদের জল , সরবত করে খাওয়ানােও হয় । এই পূজাতে পাঠা বলিদান হয় ৮৯ টি । এই গ্রামে এই পূজোতে আত্মীয় ও গ্রামবাসী মিলে প্রায় ১০০০০ জন হয় । বলতে গেলে এই পুজো সবাই আনন্দ সহিত পালন করে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে , এই পূজো আমাদের সবাইকে আনন্দ দেয় । সবারই সঙ্গে মেলামেশা হয় কয়েকদিন ধরেই ।
মন্দিরের পুরোহিত দিলীপ চক্রবর্তী জানান, “এই ঠাকুর টি আগে ছিলাে একটা কষ্টি পাথরের মূর্তি । এই পূজাটি করতাে রাজা উজিররা । আমাদের এই পূজোটি ২০০০০০ বছরের পুরােনাে পূজো । আগে এই ঠাকুর কে কেন্দ্র করে তেমন কোনাে অনুষ্ঠান হতাে না । রাজা উজির রা করতাে এই পূজাটি । আমাদের শোনা আমাদের এই ঠাকুর নাকি অনেক পুরােনাে রােগ ছাড়িয়েও দেয় । আগে এই ঠাকুর টিকে রাখা হতাে পাঁচশােয়া গ্রামে পশ্চিমপাড়াতে একটা গােপাল ঘরে । কিন্তু ধর্মরাজ ঠাকুরের এক দেয়সি দাপা দেবাংশি তিনি বলেন ,না এই ঠাকুর টিকে এই ঘরে আর রাখা যাবে না তখন ওর কথা মতাে ওই ঠাকুরটিকে যাত্রী সিদ্ধি মন্দিরে রেখে আসা হয় ওই দেবাংশির কথা মতাে কিছুদিন যেতে না যেতেই ওই ঠাকুরটি ওই মন্দির থেকে চুরি হয়ে যায়। তখন থেকেই একটা ঘোড়া এনে পূজা হয়”।
এই গ্রামের এক শিক্ষক তোতন চৌধুরী বলেন, “আগের এই মন্দির টি ছিল টিনের তৈরি কিন্তু সুকুমার মল্লিক নামে এক ব্যক্তি এই মন্দির টি সংস্করণ করে দেন। এতা আমরা খুব উপকৃত”।
এই গ্রামে এই পূজোতে সব ঠিক থাকলেও দেখা গেলো না প্রধানমন্ত্রীর স্বচ্ছ অভিযান।