বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশের বৃহত্তম আধা সামরিক বাহিনী সিআরপিএফের (CRPF) একটি বিশেষ ইউনিট হল কোবরা (Cobra)। এবার এই কোবরা বাহিনীর হাতেই পশ্চিম সিংভূম জেলার গোয়া থানা এলাকার ঘন জঙ্গলে কোবরা ও নকশালদের মধ্যে চলে তুমুল গুলির লড়াই। সোমবার, ঝাড়খণ্ডের পশ্চিম সিংভূম জেলার লিপুঙ্গা জঙ্গলে কোবরা এবং নকশালদের সেই সংঘর্ষে নিহত হয়েছে ৪ নকশাল (Naxal)।
এই নকশালদের উপর পুরস্কার মূল্য ছিল ২৫ লক্ষ টাকা। আজ থেকে ঠিক ৯ মাস আগে এই নকশাল বাহিনীই চোখে ধুলো দিয়ে একক সিআরপিএফ কোবরা জওয়ানকে এনকাউন্টারে হত্যা করেছিল। তাই পুরোনো হিসাব মেটাতেই বহুদিন ধরেই ওই কট্টর নকশালদের খোঁজ করছিলেন কোবরা বাহিনী।
অবশেষে এদিন হাতের নাগালে পেতেই আর সময় নষ্ট করেননি জওয়ানরা। এদিন নিরাপত্তা বাহিনীর হাতেই গ্রেফতার হয়েছে দুই কট্টর নকশালও। এদিনের অপারেশনে নিহত নকশালদের মধ্যে রয়েছে সাব জোনাল কমিটির সদস্য কান্দে হোনহাগা ওরফে দিরশুম, এরিয়া কমিটির সদস্য সিংরাই ওরফে মনোজ, এলজিএসএম সূর্য ওরফে মুন্ডা দেবগাম এবং মহিলা নকশাল জোঙ্গা তুর্কি।
আরও পড়ুন: ভরসা নেই ডলারে! আমেরিকার সঙ্গে ৫ দশকের চুক্তি বাতিল আরবের, এবার কি টাকায় লেনদেন?
জানা গিয়েছে নকশাল বাহিনীর কাছ থেকে দুটি এসএলআর, একটি ইনসাস এবং দুটি ৩০৩ রাইফেল উদ্ধার করা হয়েছে। এদিন যে দুজন কট্টর নকশালদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন হলেন টাইগার ওরফে পান্ডু হাঁসদা এবং অপর জন হলরন বাটারি দেবগাম।
সূত্রের খবর, এদিন ২০৯ কোবরা ব্যাটালিয়নের দ্বারা নিহত এই নকশালরাই প্রায় ৯ মাস আগে একটি অতর্কিত হামলায় কোবরা কমান্ডো রাজেশকে হত্যা করেছিল। তাই এদিনের অপরেশন সেই শহীদ বন্ধুর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই করা হয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত কোবরা বাহিনী জঙ্গলে যুদ্ধ করার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকে। জানা যায় এই এলিট কমান্ডো বাহিনী কোনো সাহায্য ছাড়াই একটানা ১১ দিন জঙ্গলে যুদ্ধ করতে পারেন।