বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাজারে তিন ধরনের ডালের দাম ব্যাপক মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে। ছোলার ডাল, অরহর ডাল এবং উরদ ডাল কিনতে গিয়ে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কেজিতে ৮৭ টাকা ১৬০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে এই ডালগুলি। একদিকে যেমন পাল্লা দিয়ে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনই ডালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা।
এই আবহে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর দিল। কেন্দ্রীয় সচিব নিধি খারে জানান আগামী মাস থেকে কমতে পারে ডালের (Pulse) দাম। কেন্দ্রীয় সচিব বলেছেন, ভালো বর্ষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে চলতি বছরে। অন্যদিকে, বাড়ানো হবে ডালের আমদানি। তাই জুলাই মাস থেকে কমতে পারে ডালের দাম।
আরোও পড়ুন : দুঃসংবাদ! লোনের EMI বাড়তে চলেছে জুন মাসেই! কোন ব্যাংকের গ্রাহকদের উপর পড়বে বাড়তি চাপ?
আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন যেহেতু এই বছর ভালো বর্ষা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই লাভের আশায় কৃষকরা জমিতে বেশি করে ডালের চাষ করবেন। এর ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে বৃদ্ধি পাবে ডালের উৎপাদন। পূরণ হবে চাহিদা। তাই স্বাভাবিকভাবেই কমবে ডালের দাম। কৃষকরা যাতে সহজে চাষ করতে পারেন তার জন্য উন্নত মানের বীজ সরবরাহ করা হবে।
আরোও পড়ুন : পুরোনো হিসেব! ৯ মাসের মাথায় শহীদ বন্ধুর প্রতিশোধ, কোবরা বাহিনীর হাতে নিকেশ ৪ নকশাল
প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ শস্য বছরে ভারতে (India) উৎপাদন করা হয়েছিল ৩৩.৮৫ লক্ষ টন অড়হড়। তবে এই শস্য বছরে চাহিদা ছিল ৪৪ থেকে ৪৫ লক্ষ টন। যেখানে ছোলার ডালের চাহিদা ছিল ১১৯ লক্ষ টন, সেখানে উৎপাদন করা হয়েছিল ১১৫ লক্ষ ৭৬ হাজার টন। উৎপাদনের ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ ডাল আমদানি করা হয়ে থাকে বিদেশ থেকে।
তাই অনেক সময় বেড়ে যায় ডালের দাম। ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে ডালের চাহিদা পূরণের জন্য প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ ডাল আমদানি করা হয়। ডাল জাতীয় শস্য ভারত মূলত আমদানি করে থাকে মায়ানমার ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে। ভারত গত বছর প্রায় ৮ লক্ষ টন অড়হড় এবং ৬ লক্ষ টন উরদ ডাল আমদানি করেছিল।