বাংলাহান্ট ডেস্ক : ‘পঞ্চায়েত’-এর তৃতীয় সিরিজ নিয়ে বেশ উন্মাদনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ওয়েব সিরিজ প্রেমীদের মধ্যে। এই সিরিজের প্রত্যেকটি চরিত্র জয় করে নিয়েছে দর্শকদের মন। এই সিরিজে বিনোদের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা (Actor) অশোক পাঠক (Ashok Pathak)। অশোক পাঠক এখন সমাজ মাধ্যমে আলোচনার অন্যতম হট টপিক। হলিউডেও নাকি কাজ করার চেষ্টা করেছিলেন অশোক।
ক্লাস নাইনে পড়া অশোক মাথায় চড়া রোদ নিয়েই সাইকেলে করে পাড়ায় পাড়ায় তুলো বিক্রি করতেন। তারপর নিজের চেষ্টায় জীবন বদলায় অশোকের। বিন্দু বিন্দু থেকে আজ তিনি সিন্ধু ছোঁয়ার দোরগোড়ায়।অশোক একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ‘যেসব শিশুর বাবা-মা তাদের ছেলেকে বলে, এই ছেলেটির সঙ্গে আড্ডা দিও না, ও তোমাকে নষ্ট করবে… বুঝবে সেই ছেলেটা একদিন আমার মতো হবে।’
আরোও পড়ুন : “বড় ভুল করেছে রেল”, সমালোচনায় সরব হলেন খোদ বন্দে ভারতের স্রষ্টা, স্পষ্ট জানালেন….
অশোক জানিয়েছেন তিনি মামার সাথে সাইকেলে করে তুলো বিক্রি করতেন। প্রতিদিন প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ সাইকেলে পাড়ি দিতেন আয়ের আশায়। অশোকের কথায়, ‘আমার মনে হয় অভিনয় আমার ভিতরে কোথাও জন্ম নিয়েছে। দারিদ্রতাও আমাকে একটু অভিনয় শিখিয়েছে। আমি ভাবলাম একটু আবেগপ্রবণ হয়ে ডাক্তারদের বলব যে স্যার, এটা ৬০ টাকা দামের তুলো। আমি ৭০ টাকায় বিক্রি করছি। ১০ টাকা মাত্র বেশি। আমিও পড়াশুনা করছি, তাই নেবেন প্লিজ। ষাটের পরিবর্তে পঞ্চাশে নেমে আসত দাম এবং আমি ৭০-এ আটকে থাকতাম।”
আরোও পড়ুন : গরমের ছুটির কারণে পড়াশোনার ঘাটতি, এবার রবিবারেও যেতে হবে স্কুল! জানুন নয়া বিজ্ঞপ্তি!
তিনি আরও বলেন, “অনেক সময় কারও ভালো না লাগলে, বাচ্চা ভেবে কিনে নিত। স্নাতক আমার জীবন বদলে দিয়েছে। আমার গান গাওয়ার শখ ছিল, ভেবেছিলাম আমিও সংগীতশিল্পী হব। চলচ্চিত্রের প্রতি অনুরাগী ছিলেন। এমনও একটা সময় ছিল, যখন টিকিট জানালায় লড়াই করে টিকিট পেতাম। মনে পড়ে মিশন কাশ্মীর, মনে পড়ে এমনকিছু সিনেমার কথা। যখন জানালায় উঠে টিকিট চুরি করার জন্য অনেক কিছু করেছি।”
তার সংযোজন, “আমার এখনও মনে আছে দুলহান হাম লে যায়েঙ্গে ছবিটি সাগর সিনেমা হল-এ দেখানো হয়েছিল। সেদিন আমার সব তুলোও এক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। আমি খুশি হয়েছিলাম যে আমি ১৫ টাকার টিকিট কিনেছিলাম, গুটখা খেয়েছিলাম, সিগারেট খেয়েছিলাম এবং গর্বের সঙ্গে ছবিটি দেখেছিলাম।’ মুম্বাই গিয়ে মাত্র দেড় মাসে কোটিপতি হয়ে গিয়েছিলেন অশোক।
সেই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যখন মুম্বই পৌঁছেছিলাম, আমি সোনি টিভিতে আমার প্রথম কাজ পেয়েছি। আড়াই হাজার টাকা পেয়েছিলাম এবং বোম্বেতে কাজ পাওয়ায় আমার খুশির সীমানা ছিল না। আমার নেশা ছিল আমি শুধু সিনেমা করতে চাই। আমি বোম্বের প্রতিটি কোণায় ঘুরে বেড়াতাম এবং কাজের সন্ধান করতাম। এক মাসের মধ্যে তিনি বোম্বেতে কোটিপতি হয়ে যান। ৭০ হাজার টাকা পেয়েছিলাম দুই দিনের কাজের জন্য।