বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত দু’বছর থেকে রাজ্যে দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি (Enforcement Directorates)। উদ্ধার হয়েছে কোটি-কোটি টাকা। শুধুই যে টাকা তেমনটা নয়, মিলেছে কেজি-কেজি সোনাও। এখন অনেকেরই মনে প্রশ্ন আসতে পারে ইডি (ED) দ্বারা উদ্ধার (Money Recovered) হওয়া এই টাকা-সোনা এসব যায় কোথায়? টাকাগুলো বাজেয়াপ্ত করে কি করেন তদন্তকারীরা?
তাহলে শুনুন, সে এক লম্বা প্রসেস। নিয়ম অনুযায়ী, প্রথমে বাজেয়াপ্ত হওয়া সম্পত্তি ও নথির একটি সিজার লিস্ট তৈরি করে ইডি। তারপর কোন নোটে কত টাকা রয়েছে, কোন নোটের কতগুলি বান্ডিল সেসব নথিভুক্ত করা হয়। এই সময় কোনও নোটে কোনও চিহ্ন ছিল কি না সেই দিকেও নজর রাখা হয়।থাকলে সেসবও নথিভুক্ত করা হয়।
এরপর একটি কারেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলে বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা জমা রাখা হয়। আদালতের অনুমতি নিতে খুলতে হয় এই অ্যাকাউন্ট যা ইডি-র এসপি (SP) পদমর্যাদা অফিসারের নামে খোলা হয়। অন্যদিকে যদি খামে বা কাগজ মোড়ানো অবস্থায় টাকা পাওয়া যায় তাহলে তা মালখানায় রাখা হয়। বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই টাকা মালখানাতেই থাকে।
কারেন্ট অ্যাকাউন্টে যদি টাকা রাখা হয় তাহলে সেই টাকা বাজারে খাটাতে পারে ব্যাঙ্ক। কোনও তল্লাশি অভিযানে মোট কত টাকা উদ্ধার হয়েছে, কি অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে এই সমস্ত কিছু আদালতে বিস্তারে জানাতে হয় ইডিকে।
আরও পড়ুন: কিছুক্ষণেই মেঘ ছিঁড়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ মুষলধারে বৃষ্টি, দক্ষিণবঙ্গের ৫ জেলায় সতর্কতা: আবহাওয়ার খবর
PMLA আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের ধারা অনুযায়ী ED সম্পত্তি অ্যাটাচ করতে পারে। তবে সম্পত্তি অ্যাটাচ করার ১৮০ দিনের মধ্যে আদালতে ইডিকে প্রমাণ করতে হয় সেই সম্পত্তি অবৈধ। যদি প্রমাণ হয়ে যায় তাহলে সরকারি কোষাগারে সেই টাকা জমা পড়ে। আর যদি প্রমাণ না হয় তাহলে সুদসহ টাকা ফেরত দিতে হয়।