বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিশ্বের চতুর্থ ও এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক আমাদের ভারতীয় রেল। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) গোড়াপত্তন হয় প্রায় ১৭০ বছর আগে। মূলত ব্রিটিশ সরকার নিজেদের ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করার জন্য রেলপথ বিস্তার করে। তবে ধীরে ধীরে ভারতীয় রেল হয়ে ওঠে পরিবহণ ব্যবস্থার চালিকা শক্তি।
ভারতীয় রেলের (Indian Railways) অজানা তথ্য
বর্তমানে আমাদের দেশের প্রতিটি প্রান্তে পৌঁছে গেছে রেলের নেটওয়ার্ক। ভারতীয় রেল আজ প্রত্যেক ভারতবাসীর কাছে ভরসার অন্যতম মাধ্যম। ভারতীয় রেলওয়ের রয়েছে সুপ্রাচীন ইতিহাস। তেমনই ভারতীয় রেলের (Indian Railways) বেশ কিছু অজানা তথ্য আজ আমরা আলোচনা করব এই প্রতিবেদনে।
আরোও পড়ুন : রাতে উঠবে ঝড়! আজ থেকেই ভারী বৃষ্টি শুরু কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে, রথের দিন আরও বাড়বে
মোট ৮৩৩৮টি স্টেশন (Railway Station) রয়েছে ভারতে। এই বিপুল পরিমাণ স্টেশনের মাধ্যমে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষকে পরিষেবা দিয়ে আসছে ভারতীয় রেলওয়ে। আপনারা জানেন ১৬ই এপ্রিল ১৮৫৩ সালে বোরি বান্দর (মুম্বাই) এবং থানের মধ্যে চলেছিল ভারতের প্রথম ট্রেন। ৪০০ জন যাত্রীকে নিয়ে এই ট্রেন অতিক্রম করেছিল প্রায় ৩৪ কিলোমিটার পথ।
আরোও পড়ুন : ফের ভাতা বাড়াল পশ্চিমবঙ্গ সরকার! তবে পাবেন শুধু এই সকল কর্মীরাই…
ভারতের সবথেকে ছোট নামের রেল স্টেশন হল আইবি স্টেশন। আর আমাদের দেশের সবথেকে বৃহত্তম নামের রেল স্টেশন ভেঙ্কটনারসিংহজুভারীপেটা স্টেশন। ইব নদী থেকে উড়িষ্যার আইবি স্টেশনের নামকরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, তামিলনাড়ুতে অবস্থিত ভেঙ্কটানরসিমহারাজুভারিপেটা ২৯ টি শব্দ নিয়ে হয়েছে ভারতীয় রেলের দীর্ঘতম নামের স্টেশন।
আরোও পড়ুন : ফের ভাতা বাড়াল পশ্চিমবঙ্গ সরকার! তবে পাবেন শুধু এই সকল কর্মীরাই…
মেট্টুপালয়াম উটি নীলগিরি প্যাসেঞ্জার হল ভারতের সবথেকে ধীরগতির ট্রেন। এই ট্রেনের গতিবেগ ঘন্টায় দশ কিলোমিটার। পাহাড়ি অঞ্চলে চলাচল করে বলে এই ট্রেনের গতি অত্যন্ত কম। এই ট্রেনটি ৫ ঘণ্টায় মাত্র 46 কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। শত বছর পুরনো ভারতীয় রেলের (Indian Railways) ইতিহাস সংরক্ষিত রয়েছে দেশের আটটি রেল মিউজিয়ামে।
এই মিউজিয়ামগুলি অবস্থিত কলকাতা, দিল্লি, কানপুর, পুনে, ঝুম, মহীশূর, চেন্নাই এবং তিরুচিরাপল্লীতে। এশিয়ার বৃহত্তম রেলওয়ে সংরক্ষণাগার হল দিল্লিতে অবস্থিত ন্যাশনাল রেলওয়ে মিউজিয়াম। ভারতের তথা এশিয়া মহাদেশের অন্যতম ব্যয়বহুল ট্রেন ধরা হয় মহারাজা এক্সপ্রেসকে (Maharaja Express)।
৮ দিনের যাত্রায় এই এক্সপ্রেস ট্রেন বিভিন্ন পর্যটন স্থল দিয়ে যায়। এগুলির মধ্যে রয়েছে খাজুরাহো মন্দির, ফতেহপুর সিক্রি, তাজমহল, রণথম্বোর এবং বারাণসীর স্নানের ঘাট। ৪ দিন ৩ রাত্রির এই ট্রেন সফরে মাথাপিছু খরচ হয় ২.৮০ লক্ষ টাকা (ডিলাক্স কেবিন)। প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট বুক করলে ভাড়া লাগে সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা মতো।