বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অনেক সময়ই দেখা যায় স্কুল শিক্ষকরা (Teachers) স্কুল টাইমে অন্য কাজে ব্যস্ত হয়ে যান। কখনও অফিসিয়াল কাজ কখনও কিছু অ্যাকাডেমিক কাজও থাকে। আর এসব করতে গিয়ে মিস হয়ে যায় ক্লাস। ফলত বিভিন্ন সময় সমস্যায় পড়তে হয় স্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের। এই নিয়েই এবার কড়া পদক্ষেপ নিল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দপ্তর (West Bengal Education Department)।
শিক্ষকদের (Teachers) নিয়ে কড়াকড়ি
এমনিতেই লোকসভা ভোট ও গরমের ছুটি মিলিয়ে টানা বহুদিন রাজ্যের সমস্ত স্কুল বন্ধ ছিল। যার জেরে পড়াশোনায় বেশ ঘাটতি দেখা গিয়েছে। সিলেবাস বাকি রয়ে গিয়েছে বেশ অনেকটাই। এই পরিস্থিতিতে এবার শিক্ষকরা যাতে শিক্ষাদান ছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত না হয়ে পড়েন সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে কড়া পদক্ষেপের ব্যবস্থা করা হচ্ছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে।
জানা গিয়েছে সম্প্রতি স্কুল শিক্ষকদের উদ্দেশে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশনার অফ স্কুল এডুকেশন। যেখানে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুল চলাকালীন শিক্ষক (Teachers) এবং শিক্ষাকর্মীরা অন্য কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। যদি কখনও কোনো দরকার পরে তাহলে সেই বিষয়ে যথাযত অনুমতি নিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সরকারি কোনও নির্দেশ, নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও কাজ ছাড়া অন্য কোনও কারণে যদি কোনো শিক্ষক স্কুল সময়ে ছুটি নেন, তাহলে অতি অবশ্যই তাকে প্রধান শিক্ষক বা স্কুলের কার্যকরী সমিতির থেকে অনুমতি নিতে হবে। সকল শিক্ষকদের জন্যই এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। কেউ এই নিয়ম ভাঙলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে বিভাগীয় তদন্তের আওতায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আরও পড়ুন: সকাল সকাল সুখবর! DA-র পর ২৫% ভাতা বাড়ছে সরকারি কর্মীদের, পুজোর আগেই লটারি
এখানেই শেষ নয়, স্কুল টাইমে অন্য কোনো কাজ চলছে কিনা সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রত্যেক মাসে সেই শিক্ষক বা শিক্ষককর্মীকে (Teachers) স্যালারি রিকুইজেশন স্লিপের সঙ্গে প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে জমা দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডলের কথায়, ‘২০১৮ সালে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের জন্য যে আচরণ বিধি চালু করা হয়েছিল তাতে অনেক নিয়মেরই কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সরকার এই আচরণবিধি নতুন করে কার্যকরী করার ক্ষেত্রে কতটা আগ্রহী তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। কারণ শাসক ঘনিষ্ঠ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা কোনো নিয়ম না মেনে নিজেদের মত চলেন।’
অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক শিক্ষাকর্মীরা স্কুলের সময় কাজ ফাঁকি দিয়ে কে কোন কাজের সঙ্গে যুক্ত আছে, এই বিষয়ে নজরদারি প্রধান শিক্ষকদের দ্বারা চালানো সম্ভব নয়। স্কুল জেলা পরিদর্শকদেরই এই কাজ করতে হবে। প্রধান শিক্ষকরা এই নজরদারির কাজ করলে এর বিরূপ প্রভাবও পড়তে পারে।’