বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) প্রত্যেক সপ্তাহেই কোনও না কোনও তথ্য সামনে আসছে। এবার যেমন পুর নিয়োগ দুর্নীতির মূল হোতা অয়ন শীলের (Ayan Sil) নতুন ‘কীর্তি’ ফাঁস করল সিবিআই (CBI)। কীভাবে কয়েক কোটি কালো টাকা সাদা করেছেন তিনি, সেটাই এবার আদালতে নথি দিয়ে জানাল কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস!
আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালতে সম্প্রতি পুর নিয়োগ দুর্নীতির চার্জশিট জমা দিয়েছে CBI (Central Bureau of Investigation)। সেই সঙ্গেই বেশ কিছু নথিও জমা দেওয়া হয়েছে। অয়ন (Ayan Sil) কীভাবে নিজের কোম্পানির কর্মচারীদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে কালো টাকা সাদা করেছেন সেই বিষয়ে ওখানে তুলে ধরা হয়েছে বলে খবর।
একজন তদন্তকারী অফিসার বলেন, অয়নের কোম্পানিএবিএস এনফোজেন-ে কর্মরত বেশ কয়েকজন ব্যক্তির নামে সল্টলেক সেক্টর ৩ অঞ্চলীর একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। এই বিষয়ে তপন গড়াই নামে অয়নের সংস্থার একজন কর্মী জানিয়েছেন বলে CBI সূত্রে খবর।
আরও পড়ুনঃ সুরক্ষিত নয় নেতারাও! ভরদুপুরে খোদ মমতা ঘনিষ্ঠকে খুনের হুমকি, তোলপাড় রাজ্য
তপন নিজের লিখিত বয়ানে জানিয়েছেন, সল্টলেক সেক্টর ৩ অঞ্চলে একটি বেসরকার ব্যাঙ্কে তাঁর নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। অ্যাকাউন্ট তাঁর নামে হলেও তার সকল নথি, এটিএম কার্ড, পাসবই, চেকবই সবকিছু থাকতো অয়নের কাছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ওই কর্মীকে দিয়ে চেকে সই করিয়ে নেওয়া হতো। জানা যাচ্ছে, ২০১৬ সালের পর থেকে ওই অ্যাকাউন্ট ১৬-১৭ লাখ টাকা জমা করা হয়েছে এবং তা তুলেও নেওয়া হয়েছে।
তদন্তকারীদের দাবি, শুধুমাত্র অফিসের কর্মচারীরাই নন, অয়নের পরিবারের লোকজন এবং ঘনিষ্ঠদের নামেও এমন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। ঘুরপথে অযোগ্য প্রার্থীদের থেকে নানান মিডলম্যান এবং এজেন্টদের মারফৎ যে টাকা আসতো, সেগুলো এই অ্যাকাউন্টগুলিতে জমা করা হতো। পরবর্তীতে আবার তা তুলেও নেওয়া হতো। অবাক করা বিষয় হল, অয়নের (Ayan Sil) সংস্থার কর্মীদের মাসিক বেতন ১২,০০০ থেকে ১৫,০০০ টাকার মধ্যে। সেখানে তাঁদের অ্যাকাউন্টে লক্ষাধিক টাকার লেনদেন হতো।
ওই সকল অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দুর্নীতির (Recruitment Scam) টাকা ট্রানজাংশন হতো বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এখানেই শেষ নয়। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, অয়নের অফিসে তল্লাশির পর তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি মতো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পাওয়া গিয়ছিল। সেই সঙ্গেই অয়নের সংস্থার বেশ কয়েকজন ডিরেক্টরের খোঁজও পাওয়া যায়। তাঁদের মধ্যে অন্যতম অয়নের স্ত্রী কাকলি। তবে গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, কাকলি লিখিত বয়ানে বলেছেন, সংস্থার ডিরেক্টর হলেও নিয়োগ দুর্নীতি সম্বন্ধে কিছু জানতেন না তিনি। পুর নিয়োগের বিষয়টিও অয়নই নিয়ন্ত্রণ করতে বলে জানিয়েছেন তিনি।