অজয় রায়, বাংলা hunt: কিসের এতো তাড়া ছিলো ?! ম্যাচটা তো কুড়ি ওভারের ছিলো না ।অথচ, প্রথম থেকে একটু ও থিতু হওয়ার চেষ্টা না করে শুরু থেকেই আশা যাওয়ার পালা শুরু পাকিস্তানের।বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড সিরিজে প্রতিটা ম্যাচে হারলেও প্রায় ৩০০ উপর স্কোর ছিলো দলটার।কিন্তু কাল নটিংহ্যামে প্রায় নাকানি চোবানি খেলো সরফরাজরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং লাইন আপের সামনে মাথা তুলে দাড়ানোর আগে মাথা কেটে হলো দলের গোটা ব্যাটিং লাইন আপের।শেষে রিয়াজ ১৮ না করলে হয়তো তিন সংখ্যার স্কোর লাইনেও পৌছাতে পারতো না।২১ ওভারেই আত্মহত্যা করলো গোটা পাক দল, স্কোর ১০৫
ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ফের খুনে মেজাজে গেইল।এই বিশ্বকাপের পরই অবসর নেবেন, তাই একটা মরিয়া ভাব এদিন স্পষ্ট তার ব্যাটে।শুরু থেকেই বেধড়ক পিটিয়ে করলেন ৩৪ বলে ৫০।অর্ধেক ম্যাচ শেষ করলেন তিনি।আর অর্ধেক টা নিকোলাস পুরান।দারুন সম্ভাবনা ময় এই ক্রিকেটার নিজের প্রতিভার পরিচয় এইবার আইপিএলেই দিয়েছিলেন।
এই লজ্জাজনক ম্যাচ থেকে সরফরাজের একমাত্র প্রাপ্তি শুধুমাত্র মহম্মদ আমিরের ফর্মে ফেরা।এইদিন জিততে গিয়ে তিন উইকেট হারায় হোল্ডাররা।তিনটেই নিয়েছে আমির।পরবর্তী ম্যাচ গুলোর আগে এইটা দরকার ছিলো।
অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলিং লাইন আপ এইদিন একে অপরকে টক্কর দিলো উইকেট নেওয়ার খেলায়।যেনো এ বলে আমায় দ্যাখ, আর ও বলে আমায়।শেষে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার খেলায় প্রথমে শেষ করলো এদিনে ম্যাচ সেরা ওশানে থমাস , ৪ উইকেট নিয়ে।দ্বিতীয় জেসন হোল্ডার , ৩ উইকেট এবং
তৃতীয় আন্দ্রে রাসেল, ২ উইকেট।স্বান্তনা পুরস্কার হিসেবে কট্রেল পেয়েছে একটি উইকেট।অর্থাৎ সব মিলিয়ে পাকিস্তান ব্যাটিং লাইন আপ কাউকেই নিরাশ করেনি।
লেখা শেষ করবো একটি পরিসংখ্যান দিয়ে, এর আগে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সর্বনিম্ন স্কোর ছিলো ৭৪।১৯৯২ এর পর এটাই তাদের বিশ্বকাপে সবচেয়ে খারাপ প্রদর্শন।সেইবার এ্যডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৪ রানে শেষ হয়ে গেছিলো পাকিস্তানের ইনিংস।এরপর এটাই বিশ্বকাপে সবচেয়ে লজ্জাজনক পারফরম্যান্স তাদের।সেইবার ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান সবাইকে চমকে দিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিলো।জানিনা কাল ম্যাচে শেষে হোটেলে ফিরে এই রেকর্ডে চোখ পড়েছে কিনা সরফরাজের।পড়লে নিশ্চয়ই ঠোটের কোনে খানিকটা হাসি ফুটেছে।এখন এটাই যে ওর স্বান্তনা।