বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তদন্তের নামে একাধিকবার দিল্লি তলব ইডির! এই ‘হেনস্থা’র প্রতিবাদ স্বরূপ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই মামলাতেই বড় ‘সিদ্ধান্ত’ নিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
অভিষেক-রুজিরার মামলায় কী ‘সিদ্ধান্ত’ নিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)?
তৃণমূল ‘সেনাপতি’র বক্তব্য, তথাকথিত যে দুর্নীতির তদন্তের জন্য তাঁকে বারংবার দিল্লি তলব করা হচ্ছে, সেটার চারণভূমি হল পশ্চিমবঙ্গ। অভিষেক এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা কলকাতায় থাকেন। দু’জনেই এখানকার স্থায়ী বাসিন্দা। কলকাতায় ইডির পূর্ণাঙ্গ দফতরও রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন বারবার দিল্লি ডাকা হচ্ছে?
বাড়িতে ছোট ছোট দুই শিশু থাকলেও কেন্দ্রীয় এজেন্সির ডাকে সাড়া দিতে রাজধানী ছুটে যেতে হচ্ছে রুজিরাকে। কেন কলকাতার বদলে ১৫০০ কিলোমিটার দূরে তলব করছে ইডি (Enforcement Directorate)? এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হয় সর্বোচ্চ আদালতে। তবে রায় সংরক্ষণ করে আপাতত অন্তর্বর্তী নির্দেশ বহাল রাখল আদালত।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর কাণ্ডের জের! বিরাট সিদ্ধান্ত দেবের, তৃণমূল সাংসদের এক ঘোষণায় তোলপাড়!
রাজধানী নয়, তদন্তের স্বার্থে তলব করতে হলে অভিষেক (Abhishek Banerjee), রুজিরাকে কলকাতায় ডাকতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে তৃণমূল সাংসদ এবং তাঁর স্ত্রী সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এক্ষেত্রে তদন্তের স্বার্থে ইডি-কে যদি তাঁদের তলব করতেও হয় তাহলে দিল্লি নয়, বরং ডাকতে হবে কলকাতাতেই।
সুপ্রিম কোর্টে এদিনের শুনানিতে অভিষেকের আইনজীবী ছিলেন কপিল সিব্বল। অন্যদিকে রুজিরার তরফ থেকে ছিলেন অভিষেক মনু সিংভি। আর একজন প্রবীণ আইনজীবী গোপাল শঙ্কর আইয়ারও ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পর রায়দান আপাতত স্থগিত রেখেছে আদালত। সেই সঙ্গেই অন্তর্বর্তী নির্দেশ, তদন্তের স্বার্থে তলব করতে হলে অভিষেক, রুজিরাকে ডাকতে হবে কলকাতায়। সাময়িক হলেও শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) এই ‘সিদ্ধান্ত’কে তৃণমূল ‘সেনাপতি’র বড় জয় হিসেবে দেখছেন অনেকে।