বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের নারী নিরাপত্তা। একজন নারী যদি নিজের কর্মস্থলেও সুরক্ষিত না হন, তাহলে কীভাবে চলবে? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। এই আবহে নারী নিরাপত্তা জোরদার করতে সরকারের তরফ থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবার বড় পদক্ষেপ নিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmick)।
নারী নিরাপত্তা জোরদার করতে বিরাট পদক্ষেপ পার্থর (Partha Bhowmick)
নৈহাটির বিধায়ক থেকে ব্যারাকপুরের সাংসদ হয়েছেন পার্থ। অর্জুন সিংকে পরাজিত করে এই দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে প্রথম প্রশাসনিক বৈঠকের আয়োজন করেন পার্থ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক, ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার, জেলা পরিষদের সভাপতি সহ একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক এবং সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধিরা। সেখানেই একটি নতুন অ্যাপের কথা ঘোষণা করেন সাংসদ (Barrackpore MP)।
- ‘সরাসরি সাংসদ’ অ্যাপে কী কী সুবিধা মিলবে?
প্রশাসনিক বৈঠক শেষ হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন পার্থ। সেখানেই ‘সরাসরি সাংসদ’ (Sorasori Sangsad) অ্যাপের কথা ঘোষণা করেন তিনি। বলেন, ‘এই অ্যাপে মানুষ নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। নাগরিক পরিষেবা, রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সুবিধা সম্বন্ধিত মন্তব্য করতে পারবেন’। এরপরেই ‘প্যানিক বাটন’এর কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ হু হু করে বাড়বে আয়! অষ্টম বেতন কমিশন নিয়ে নয়া আপডেট, সরকারি কর্মীদের জন্য বড় সুখবর!
পার্থ (Partha Bhowmick) জানান, নারী সুরক্ষার দিকটি মাথায় রেখে এই অ্যাপে একটি ‘প্যানিক বাটন’ রাখা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘সংসদীয় এলাকার কোনও মহিলা সমস্যায় পড়লে ওই বোতাম টিপলে সংশ্লিষ্ট থানায় লোকেশন সহ মেসেজ পৌঁছে যাবে। পুলিশ তৎক্ষণাৎ অ্যাকশন নিতে পারবে’। ১ মাসের মধ্যেই এটা করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যারাকপুরের সাংসদ।
উল্লেখ্য, ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ তথা তৃণমূলের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পথে হেঁটে নিজ এলাকায় এই প্রশাসনিক বৈঠক ডেকেছিলেন পার্থ। গত বৃহস্পতিবার আয়োজিত এই বৈঠকে উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে বলে খবর।
সাংসদ হিসেবে শপথ গ্রহণের পর বিধায়ক, পুরসভার পুরপ্রধান, পঞ্চায়েত সভাপতিদের থেকে নিজেদের এলাকায় কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন সেটা জানতে চান পার্থ (Partha Bhowmick)। জনপ্রতিনিধিদের তরফ থেকে সেই তালিকা দেওয়ার পর একসঙ্গে তা লিপিবদ্ধ করা হয়। নিজ লোকসভা এলাকার মানুষের যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়, অভাব-অভিযোগ না থাকে, সেটা সুনিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর ব্যারাকপুরের সাংসদ।