ভুয়ো শংসাপত্র দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ! বিহারের দুই পরীক্ষার্থীকে মারধর রাজ্যে, তুমুল শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট দিয়ে রাজ্যের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ! পশ্চিমবঙ্গ, অসম থেকে শুরু করে ত্রিপুরা দেশের একাধিক রাজ্যে বহুবার এমন অভিযোগ উঠেছে। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার থেকে মূলত বহু পরীক্ষার্থী ভুয়ো বাসস্থানের শংসাপত্র ব্যবহার করে উল্লখিত রাজ্যগুলির নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন বলে অভিযোগ। সম্প্রতি শিলিগুড়ির (Siliguri) এক ঘটনার জেরে ফের একবার এই বিষয়টি শিরোনামে উঠে এসেছে।

বর্তমানে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ চলছে। সেই পরীক্ষা চলছে শিলিগুড়িতে। দেশের নানান রাজ্য থেকে সেই পরীক্ষা দিতে সেখানে এসেছেন পরীক্ষার্থীরা। বিহার থেকে আসা এমনই দু’জন ছাত্রকে এবার হেনস্থা এবং মারধর করার অভিযোগ উঠল বাংলা পক্ষের (Bangla Pokkho) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

জানা যাচ্ছে, গতকাল রানিডাঙায় বিহার (Bihar) থেকে পরীক্ষা দিতে আসা দু’জন ছাত্রের সঙ্গে দেখা করতে যান বাংলা পক্ষের এক কর্মকর্তা। শুধু তাই নয়, তাঁর সঙ্গে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি নিজেদের আইবি আধিকারিক হিসেবে পরিচয় দেন বলে খবর। এরপর ভুয়ো পরিচয় দেওয়া ব্যক্তিরা বিহারের ওই দুই ছাত্রকে হেনস্থা করে বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা পাবে ১০,০০০ টাকা! কবে অ্যাকাউন্টে ঢুকবে? রইল হাতেগরম আপডেট

বিহার থেকে এসে এই রাজ্যে পরীক্ষা দেওয়া যাবে না, ওই দুই পরীক্ষার্থীকে নাকি একথা বলা হয়। ইতিমধ্যেই হেনস্থা এবং মারধরের ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক। এই ঘটনায় রজত ভট্টাচার্য নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

হেনস্থা ও মারধরের এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরেই এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। এরপর স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপের সহায়তা নিয়ে রজতকে আটক করা হয় বলে খবর। শিলিগুড়ির এসএফ রোড থেকে তাঁকে আটক করেছে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে রজত বলেন, ওই পরীক্ষার্থীরা ভুয়ো শংসাপত্র নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে পরীক্ষা দিতে এসেছে। যে কারণে বঞ্চিত হচ্ছেন এখানকার ছাত্রছাত্রীরা।

Bihar students allegedly harassed by Bangla Pokkho

রজত বলেন, বাংলা পক্ষ (Bangla Pokkho) থেকে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। তবে হেনস্থার অভিযোগ তিনি মানতে চাননি। জানা যাচ্ছে, এদিন ডিসিপি সহ অন্যান্য পুলিশ কর্তারা শিলিগুড়ি থানায় যান। তবে এই বিষয়ে পুলিশ আধিকারিকরা কোনও মন্তব্য করেননি।

বাংলা পক্ষের (Bangla Pokkho) কৌশিক মাইতি এই প্রসঙ্গে বলেন, হেনস্থা করাটা হয়তো ঠিক হয়নি। তবে ভুয়ো শংসাপত্রের কথা পরীক্ষার্থীরা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। আমাদের খুব স্পষ্ট দাবি, আইনি পথে আমরা সেই লড়াই করছি এবং করব।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর