এবার পাল্টে যাবে বাংলার ভোল! নেওয়া হচ্ছে বিরাট পদক্ষেপ, জানলে হবেন অবাক

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ইন্ডিয়ান প্লাস্টিক ফেডারেশন (IPF) গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) থাকা সাঁকরাইল পলিপার্কের পাশাপাশি অন্তত দু’টি অতিরিক্ত পলিপার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। মূলত, এই সেক্টরে ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং নতুন ক্যাপেক্সের লক্ষ্যে এই বিরাট পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

রাজ্যে (West Bengal) এবার বড় পদক্ষেপ:

এদিকে, দক্ষ জনবলের অভাবের কারণে, এটি হাওড়া জেলার সাঁকরাইলে একটি সেক্টর স্কিল সেন্টার চালু করতে চলেছে। যেটি ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের (NSDC) অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এই বিষয়টি পরিপ্রেক্ষিতে, IPF-এর প্রেসিডেন্ট ললিত আগরওয়াল জানিয়েছেন, “আগামী কয়েক বছরে প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকার মূলধন ব্যয়ের পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই করা হয়েছে। যা সম্ভাব্যভাবে রাজ্যে (West Bengal) প্রায় ২ লক্ষ নতুন চাকরি তৈরি করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আরও পলি পার্কের প্রয়োজন।”

Big steps are being taken in West Bengal.

তিনি আরও বলেন, “এর মধ্যে একটি উলুবেড়িয়ায় ৫০ একরের ল্যান্ড পার্সেলের মাধ্যমে পরিকল্পনা করা হয়েছে। অপরটির জন্য আমরা আমরা দুর্গাপুর হাইওয়ের ধারে একটি উপযুক্ত জায়গা খুঁজছি।” আগরওয়াল জানান, IPF সাঁকরাইল পলি পার্কে কি ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের পরিকাঠামোর সাথে প্রস্তুত এবং NSDC-র অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছে।

আরও পড়ুন: এবার গোবর থেকে তৈরি হবে CNG! এই রাজ্যে প্ল্যান্ট উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

এদিকে, IPF-এর সেক্রেটারি শ্যাম লাল আগরওয়াল জানিয়েছেন যে, অতিরিক্ত ক্যাপেক্স রাজ্যের জিডিপিতে ২০,০০০ কোটি টাকা অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে ৫ লক্ষেরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: সর্বনাশ! iPhone-এর যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী রতন টাটার কারখানায় বিধ্বংসী আগুন, সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

উল্লেখ্য যে, IPF প্লাস্টিকের ডিসপোজাল সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বেশ কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে বলে উল্লেখ করে আগরওয়াল জানান, প্যাকেজিং সংস্থাগুলিকে পুনর ব্যবহারের জন্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী পরিবেশগত ঝুঁকির হ্রাস করতে এবং পুনরায় ব্যবহারের প্রচারে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার চিনা খেলনার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যার ফলে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বেড়েছে। আনুমানিক ৫০ শতাংশ খেলনা এখন ভারতে তৈরি হয়েছে। যেটি পূর্বে ছিল মাত্র ২ থেকে ৩ শতাংশ।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর