বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আমরণ অনশন চলাকালীনই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক। বিকেল ৫টায় সময় দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই মতো আজ বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে নবান্নে পৌঁছে যান জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধিদল। নবান্নের তরফ থেকে ১০ জন জুনিয়র ডাক্তারকে যাওয়ার কথা বলা হলেও এদিন ১৭ জন জুনিয়র চিকিৎসক সেখানে যান।
মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)-জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং
এদিন বিকেল ৫টার কিছু আগে নবান্ন সভাঘরে প্রবেশ করেন ১৭ জন জুনিয়র ডাক্তার (Junior Doctors)। বৈঠকে রয়েছেন দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতো, কিঞ্জল নন্দরা। জানা যাচ্ছে, এদিন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের তেমন কোনও দাবি রাখেননি। তা সত্ত্বেও বৈঠকের ‘লাইভ স্ট্রিমিং’ শুরু হয়।
এর আগে একবার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক ভেস্তে গিয়েছিল। তবে এবার যেন মেঘ না চাইতেই জল! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার করছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসও।
আরও পড়ুনঃ দীপাবলির আবহেই লক্ষ্মীলাভ! কেন্দ্রের পথে হেঁটে DA বাড়াবে রাজ্য! এবার কত শতাংশ বাড়বে?
এদিন বৈঠকের শুরুতেই সময়ে পৌঁছনোর জন্য জুনিয়র ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে নবান্ন এবং কালীঘাটের বৈঠকে দেরিতে পৌঁছেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে এদিন সময়ের আগেই নবান্নে (Nabanna) পৌঁছে যান তাঁরা। সেই কারণে মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাঁদের ধন্যবাদ জানান। এদিন বৈঠকে দেরিতে আসার কারণও জানান আন্দোলনকারী চিকিৎসক আশফাকুল্লাহ নাইয়া। তিনি জানান, এর আগে প্রত্যেকবার বৈঠকের আগে অল্প সময় পেতেন আন্দোলনকারীরা। যে কারণে নিজেদের মধ্যে জিবি মিটিং করে বৈঠকে আসতে দেরি হতে যেত।
আজ আরজি কর কাণ্ড (RG Kar Case) নিয়ে কথা বলেন জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম ‘মুখ’ দেবাশিস হালদার। তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে স্টেট টাস্ক ফোর্সে ডাক্তারদের সংখ্যা বাড়ানোর আবেদন জানান তিনি। কমিটিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের রাখার দাবিও তোলেন। একইসঙ্গে বলেন, ‘এই কমিটি সিলেক্টেড নয়, ইলেক্টেড হতে হবে’।
আজ জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিসের মুখে ‘থ্রেট কালচার’এর প্রসঙ্গও উঠে আসে। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি ডক্টর বিরূপাক্ষের নাম নিতেই তাঁকে থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, সেই ব্যক্তি যখন উপস্থিত নেই, তখন নাম নেবেন না। নাম নিলে তো তাঁকেও তাঁর কথা রাখার জায়গা দিতে হয়।
এদিন বৈঠক চলাকালীন গত ১৪ আগস্ট রাতে আরজি করে ভাঙচুরের অভিযোগ ধৃতদের জামিন দেওয়া প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) মতামত জানতে চান জুনিয়র চিকিৎসক কিঞ্জল নন্দ। অন্যদিকে অনিকেত বলেন, ‘আরজি কর কাণ্ডের মতো আর দ্বিতীয় ঘটনা যাতে না হয়, সেটা দেখা হোক। মেয়েদের সুরক্ষার বিষয়টা দেখা হোক’। ‘থ্রেট কালচার’এর পাশাপাশি যৌন হেনস্থাও চলে বলে অভিযোগ করেন তিনি।