বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চাকরি থেকে বরাখাস্ত করা হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণার মহেশতলার গণিপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুরঞ্জনা মণ্ডলকে। নিয়মবহির্ভূতভাবে এমনটা করা হয়েছে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। বিচারপতি অমৃতা সিনহা ওই মামলায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে অ্যাপলেট কমিটি তৈরি করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকার অভিযোগ খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হতেই কপাল খুলল স্কুল শিক্ষিকার?
অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে ওই অ্যাপলেট কমিটি সংশ্লিষ্ট স্কুল শিক্ষিকাকে (School Teacher) চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ খারিজ করে। এরপর তাঁকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে বকেয়া মাইনে মিটিয়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়। এই প্রসঙ্গে পর্ষদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক বলেন, ‘কমিটির নির্দেশ এখনও হাতে পাইনি’।
তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধি সুরঞ্জনা এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং বকেয়া ডিএ মেটানো নিয়ে নাগরিক আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলাম। সেই জন্য মিথ্যে অভিযোগে গত বছরের জুলাই মাসে আমায় সাসপেন্ড করা হয়। ওই বছরেরই ডিসেম্বর মাসে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়’।
আরও পড়ুনঃ কাটল হাত, পড়ল চারটি সেলাই! ওয়াকফ বিল নিয়ে বৈঠকে কল্যাণ বনাম অভিজিৎ! তুলকালাম কাণ্ড
এরপরেই হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ওই শিক্ষিকা। গত সেপ্টেম্বর মাসের ২৭ তারিখ এবং ৩০ তারিখ ওই স্কুল শিক্ষিকার আবেদনের শুনানি হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম দিনেই তাঁকে পুনর্বহালের নির্দেশ দেয় অ্যাপলেট কমিটি। সেখানে লেখা, ওই স্কুল শিক্ষিকাকে শোকজ নোটিশের পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগপত্র ও ইনস্পেকশন রিপোর্ট পাঠানো হয়নি। শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য পদক্ষেপের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হয়নি।
এখানেই শেষ নয়! শুনানির সময় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল, সেখানে সাক্ষীদের সই অথবা বয়ান কিছুই ছিল না। এমনকি ওই শিক্ষিকাকে তাঁর সাক্ষীদের হাজির করানোর সুযোগও দেওয়া হয়নি। বরখাস্ত করার চিঠির সঙ্গেও তদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়নি বলে খবর।
এর সঙ্গে আরও বেশ কিছু নিয়মের পরোয়া করা হয়নি বলে জানা যাচ্ছে। তাই অ্যাপলেট কমিটির তরফ থেকে ওই শিক্ষিকার চাকরি থেকে সাসপেনশন এবং বরখাস্তের নির্দেশ খারিজ করে দেওয়া হয়। তবে কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তার ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত করা যাবে। তবে সেটা রুল মেনে করতে হবে।