কালীপুজোর দিন নৈহাটির বড় মা’কে অঞ্জলি দেওয়ার ইচ্ছে? দেখুন, কখন হাজির হয়ে কী নিয়ম মানতে হবে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ধর্ম যার যার বড় মা সবার – এই কথার মাধুর্য্য ছড়িয়ে পড়েছে দিকেদিকে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন নৈহাটির বড় মা’র (Baro Maa) কাছে মনস্কামনা নিয়ে। ভক্তদের বিশ্বাস কাউকে খালি হাতে ফেরান না বড় মা। কালী পুজোর দিন অসংখ্য ভক্ত আসেন নৈহাটির (Naihati) বড় মা’র মন্দিরে।

নৈহাটির (Naihati) বড় মা’র (Baro Maa) মন্দিরের নিয়মকানুন

বড় মা’র (Baro Maa) পুজো এ বছর পদার্পণ করবে ১০১ বছরে। নৈহাটির বড় মা সজ্জিত থাকেন ১০০ ভরি সোনা ও ২০০ ভরি রুপোর অলঙ্কারে। একটা সময় পর্যন্ত এই মন্দিরে সারা বছর পুজো করা হত কৃষ্ণবর্ণ মায়ের ছবি। গত বছর থেকে কষ্টিপাথরের মূর্তি পূজিত হতে শুরু করে। গোটা বছর সাধারণ মানুষের জন্য মন্দির খোলা থাকলেও, কালী পুজোর সময় সাধারণ মানুষের অবাধ যাতায়াত বন্ধ থাকে মন্দিরে।

আরোও পড়ুন: বিদায় নিলাম! চোখের জলে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’কে বিদায় জানিয়ে খোলা চিঠি ‘লাবণ্য’ রূপাঞ্জনার

ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ নৈহাটি আসেন একটি বার বড় মা’র (Baro Maa) দর্শন পেতে। কেউ মা’কে জানান মনস্কামনার কথা, আবার কেউ মনস্কামনা পূরণের শান্তি নিয়ে পুজো দিতে আসেন মা’কে। চলতি বছর ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বড় মা’র পুজো। সেই পুজো চলবে সারারাত ধরে। রাত ১ টায় হবে পুষ্পাঞ্জলি। যারা বড় মায়ের পুজোয় পুষ্পাঞ্জলি দিতে চান তাদের নিজে থেকে আনতে হয় ফুল।

Baro Maa

অমাবস্যা তিথি শুরু হবে বৃহস্পতিবার দুপুর ৩ টে নাগাদ। সেই তিথি স্থায়ী হবে শুক্রবার বিকাল ৫ টা পর্যন্ত। নৈহাটির বাসিন্দা ভবেশ চক্রবর্তীর উদ্যোগে নৈহাটিতে শুরু হয় বড় মা’র পুজো। কৃষ্ণনগরের বড় কালী পুজো দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ভবেশ বাবু ১০০ বছর আগে এই পুজোর সূচনা করেন। তারপর ধীরে ধীরে বড় মা’র মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়েছে দিকে দিকে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর