বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেতা হলেন সোহম চক্রবর্তী (Soham Chakraborty)। তিনি এমন একজন অভিনেতা যাঁর সৌভাগ্য হয়েছিল বাংলা সিনেমার কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের সিনেমায় অভিনয় করার। অভিনয়ের সুবাদে ছোট থেকেই স্টুডিও পাড়ায় অবাধ যাতায়াত ছিল অভিনেতার (Soham Chakraborty)।
সোহম চক্রবর্তীর (Soham Chakraborty) ভৌতিক অভিজ্ঞতা
ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি ‘মাস্টার বিট্টু’ নামেই পরিচিত। বেফাঁস মন্তব্যের জেরে ইদানিং হামেশাই শিরোনামে উঠে আসেন রাজ্যের শাসক দল ঘনিষ্ঠ সোহম (Soham Chakraborty)। তবে জানলে অবাক হবেন ব্যক্তিগত জীবনে একাধিকবার নানা ধরনের অলৌকির ঘটনার সাক্ষী থেকেছেন সোহম। একবার শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় সঞ্চালিত জি-বাংলার জনপ্রিয় টক শো অপুর সংসারে এসে এমনই একাধিক অলৌকিক ঘটনার অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়ে ছিলেন সোহম।
তাঁযা শুনে কার্যত তাজ্জব বনে গিয়েছেন খোদ অভিনেতা-সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়-ও। সোহম সেদিন জানিয়ে ছিলেনতিনি নাকি মাঝেমধ্যেই তাঁর আশেপাশে অনেকের উপস্থিতি টের পেয়ে থাকেন। যা খুব একটা স্বাভাবিক বলে তার মনে হতো না। সোহমের এই সমস্ত বাস্তব অভিজ্ঞতার কথা শুনলে রীতিমতো গা শিউরে উঠবে আপনারও।
শুনতে অবাক লাগলেও সেইদিন সোহম জানিয়েছিলেন তিনি নাকি যেখানেই যান, সেখানেই ভূত দেখতে পান। এমনকি তিনি নাকি রীতিমতো অনুভব করতে পারেন তাঁর আশে পাশে কেউ তো আছেই। আর সে কিছু একটা করছে, যা খুব একটা স্বাভাবিক নয়।
আরও পড়ুন : বাংলা সিনেমায় দু’দশক পার! সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেগপ্রবণ ‘নায়িকা’ স্বস্তিকা
এমনই একবার অভিনেতার ভয়ানক অভিজ্ঞতা হয়েছিল কাটমান্ডু সিনেমার শুটিং-এ গিয়ে। অভিনেতার কথায় তিনি যে ঘরে শুয়েছিলেন তাঁর মনে হয়েছিল সেই ঘরের আসেপাশে কেউ একজন রয়েছে। এমনকি রাত একটার সময় তাঁর মনে হয়েছিল খাটে কেউ বসে আছে। তখন তিনি অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের সাথে ফোনে কথা বলেন এবং সেই রাতে তিনি রুদ্রনীলের সাথেই শুটে ছিলেন। এরপর সোহম জানান যে ব্যক্তি ক্যামেরা পার্সেন ছিলেন তাঁর-ও নাকি একই অনুভূতি হয়েছিল।
এখানেই শেষ নয়, সোহম জানান অনেক বছর আগে একবার শুটিংয়ের জন্য পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের ওপর একটি গেস্টহাউসে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে গিয়েও এক অস্বাভাবিক অভিজ্ঞতা হয়েছিল সোহমের। অভিনেতার কথায়, ‘ সেখানে গিয়েও অনুভব করেছিলাম, আমার যিনি সহকারী ছিলেন, তিনিও দেখেছিলেন, রাত্রে একটা কালো মেয়ের ছায়া বাথরুম থেকে বেরচ্ছে, পুরো ঘরটা ঘুরে ঢুকে যাচ্ছে।’