কয়েক হাজার কোটি! আরজি কর কাণ্ডের তদন্তে নেমে CBI যা হাতে পেল … ফাঁস হতেই তোলপাড়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পরেই হাসপাতালের অন্দরে হওয়া নানান দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে থাকে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন আরজি করের (RG Kar Case) প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বর্তমানে এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। এই আবহে সামনে আসছে বড় খবর! আরজি করের দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে নাকি রাজ্যের অন্যান্য সব মেডিক্যাল কলেজের দুর্নীতির গন্ধ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

  • আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) সূত্রে আরও বড় দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছে সিবিআই?

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এক সিবিআই (CBI) আধিকারিককে উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে দুর্নীতির পরিমাণ ব্যাপক! অঙ্কটা কয়েক হাজার কোটি টাকা হতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদন অনুসারে, আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) তদন্ত সম্বন্ধিত যে শেষ স্টেটাস রিপোর্ট শীর্ষ আদালতে সিবিআই জমা করেছে, সেখানে রাজ্যের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এই বৃহত্তর দুর্নীতির উল্লেখ রয়েছে। শুধু তাই নয়! সেই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় সার্বিকভাবে সিবিআইকে অন্যান্য হাসপাতালের দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত করার অনুমতি দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ ‘দেখা করা মানেই সমঝোতা নয়’! প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে বিস্ফোরক প্রধান বিচারপতি

আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পরেই সন্দীপ ঘোষের আমলে হাসপাতালের অন্দরে হওয়া একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতে থাকে। ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ (Sandip Ghosh)। সেই সঙ্গেই তাঁর নিরাপত্তারক্ষী, হাসপাতালের দু’জন ভেন্ডার এবং আরজি করের চিকিৎসক নেতা আশিস পাণ্ডেকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।

RG Kar case Sandip Ghosh

সম্প্রতি সিবিআইয়ের তরফ থেকে আদালতে জানানো হয়েছে, আরজি কর দুর্নীতি মামলায় সন্দীপের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হবে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি দাবি, আরজি কর (RG Kar Case) হাসপাতাল ছাড়াও অন্যান্য জায়গায় দুর্নীতির জাল ছড়ানোর নেপথ্যে রয়েছেন সন্দীপ এবং আশিস।

এখানেই শেষ নয়! সিবিআইয়ের আরও দাবি, ২০১৪ সালে রাজ্য সরকারের নীতি পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালগুলিতে ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে বদল এসেছিল। তাতে স্বাস্থ্য ভবনের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ হ্রাস পায়। এমতাবস্থায় নানান সরকারি হাসপাতালে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে দুর্নীতি চক্র। খাতায় কলমে ভুয়ো বিল দেখিয়ে সব ঠিক রাখা হলেও আদতে সেখানে নিম্নমানের ওষুধ সরবরাহ হতে থাকে বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে এই দুর্নীতি চক্র কয়েক হাজার কোটি টাকার হতে পারে।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর