বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যের ওবিসি সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মামলার জটিলতার কারণে এই মুহূর্তে বিপাকে পড়েছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ। হাইকোর্টের নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে। এখনও পর্যন্ত এই ওবিসি সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মামলা শীর্ষ আদালতে বিচারাধীন (DY Chandrachud)।
OBC সার্টিফিকেট সংক্রান্ত মমমলার রায় শুনবেন না ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud)
যার ফলে এখন লক্ষাধিক মানুষ এই ওবিসি সার্টিফিকেট আর ব্যবহার করতে পারছেন না। এরই মধ্যে এবার সামনে এল সুপ্রিম কোর্টের এক বড় সিদ্ধান্ত। জানা গেল রাজ্যের এই ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের মামলা আর শুনবেন না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের (DY Chandrachud) নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। সম্প্রতি এই মামলার শুনানি প্রায় একমাস পিছিয়ে গিয়েছে।
যার ফলে আগামী ২৬ নভেম্বরের আগে এই মামলা উঠবে না শীর্ষ আদালতে (DY Chandrachud)। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলা শুনানির কথা ছিল গত ২২ অক্টোবর কিন্তু সেদিন শুনানি হয়নি। প্রসঙ্গত প্রায় পাঁচ মাস আগে গত ২২ মে বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ ২০১০ সালের পর থেকে তৈরি সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করা নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অভিযোগ ছিল রাজ্যের ওই সমস্ত সার্টিফিকেট নাকি সঠিকপদ্ধতি মেনে দেওয়া হয়নি। এই মামলার শুনানিতে প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়। এরপর হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। একই সাথে এই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দপ্তর-ও।
আরও পড়ুন : সুপার সাইক্লোনের পর দানা! ঝড়ের মুখে দাঁড়িয়েও কীভাবে রক্ষা পায় ওড়িশার ভিতরকণিকা
গত পাঁচ আগস্ট প্রথমবার শীর্ষ আদালতেই মামলা ওঠে। সে সময় এই মামলার শুনানি হয়েছিল প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud), বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। এখনও পর্যন্ত এই মামলার কোনো নিষ্পত্তি হয়নি। তাই আপাতত তা সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীনই রয়েছে। তাছাড়া শীর্ষ আদালত ওই নির্দেশে এখনও পর্যন্ত কোনও স্থগিতাদেশ-ও দেয়নি।
এরই মধ্যে এই মামলার শুনানি আরও একবার পিছিয়ে গিয়েছে। তারপরে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের তরফে এদিন জানানো হয়েছে এবার এই মামলার শুনানি বর্তমান প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে আর হবে না। কারণ তার আগেই অর্থাৎ আগামী ১০ নভেম্বর অবসর নিচ্ছেন সুপ্রিম বর্তমান প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়। তাই আগামী দিনে এই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি আর হবে না।