বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাঙালির দুর্গাপুজোয় হামলার ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। চলতি বছর দুর্গাপুজোয় খাস কলকাতার গার্ডেনরিচ সহ রাজ্যজুড়ে একাধিক পুজো মণ্ডপে ‘দুষ্কৃতী’ হামলার (Miscreants at Durga Puja Pandal) অভিযোগ ওঠে। গার্ডেনরিচের ঘটনায় আগেই মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। এবার সেই মামলাতেই ডিজির রিপোর্ট তলব করল উচ্চ আদালত।
প্রসঙ্গত, গার্ডেন রিচের (Garden Reach) নিউ বেঙ্গল স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো প্যান্ডেলে দুর্গাপুজোর চলার সময় হামলার অভিযোগ ওঠে। পুজো প্যান্ডেলে গান বাজানোয় একটি সম্প্রদায়ের কিছু যুবক আপত্তি জানায়। গানের শব্দে তাদের নামাজে সমস্যা হচ্ছে বলে আপত্তি জানান তারা। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ধাক্কাধাক্কি চলে মণ্ডপের ভিতরে। সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় হু হু করে ভাইরাল হয়ে যায়।
সেই হামলার ভিডিও এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। গার্ডেনরিচের ওই ক্লাবে পুজো বন্ধ না করলে দুষ্কৃতীরা মণ্ডপ ও মূর্তি ভাঙচুরের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদিকে গত ১১ অক্টোবর গার্ডেনরিচের ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-কে (NIA) দেওয়ার আরজি জানিয়ে হাইকোর্টের যান বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক সদস্য।
শুধু গার্ডেনরিচই নয়, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দুর্গাপুজোয় হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ সামনে আসে। সপ্তমীর দিন আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটাতে মণ্ডপে ঢুকে দুষ্কৃতীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে। কোচবিহার, হাওড়া ও নদিয়াতেও পুজোয় হামলার ঘটনা সামনে আসে। এই সব অভিযোগও জুড়েছিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সেই সদস্য।
আরও পড়ুন: কবে আসবে সপ্তম বেতন কমিশন? অবশেষে জানিয়ে দিল রাজ্য, সরকারি কর্মীদের কতটা লাভ হবে?
মঙ্গলবার বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠলে বড় নির্দেশ আসে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পুজোর সময় যে অশান্তি হয়েছে, তার অভিযোগ দায়ের হয়েছে কিনা, হলে কতগুলি হয়েছে এবং পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, ডিজিকে সেই রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বলা হয়েছে, জেলার পুলিশ সুপার বা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনাররা প্রথমে ডিজিকে রিপোর্ট দেবেন। ডিজি সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জমা দেবে।