বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেষ্ট (Anubrata Mondal) ফিরতেই বীরভূমে ফিরছে চেনা ছবি। ফের প্রকাশ্যে কেষ্ট-কাজল দ্বন্দ্ব। একদিন আগেই স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) গড়ে দেওয়া কোর কমিটি নিয়ে এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। কোর কমিটির সংখ্যা ১৫ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। এরই মাঝে এবার পাল্টা মুখ খুললেন কাজল।
অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) যুক্তি ফুৎকারে উড়িয়ে জেলাপরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ বললেন, ”দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ছয়জনের কোর কমিটি ঠিক করেছেন। এর পরে এই কমিটির সংযোজন বা বিয়োজন প্রসঙ্গে কারও কোনও কথা বলা সমীচীন নয়। দলনেত্রী যা ঠিক করবেন সেটাই সকলের মেনে চলা উচিত। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক হওয়া ঠিক নয়। কোর কমিটির সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন। সেই নির্দেশিকাই সকলের মেনে চলা উচিত।”
এই কোর কমিটি নিয়ে কেষ্ট বলেন, “আমার মনেহয় সবাই একসঙ্গে চললেই সব ভালো হবে। কোর কমিটি তো আগেও ছিল। এটা তো নতুন কিছু নয়। আগে আমি দিদিকে বলে কোর কমিটি তৈরি করেছিলাম। এবারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেককে কোর কমিটির বাড়ানোর প্রস্তাব দেব।”
প্রসঙ্গত, অনুব্রত জেলে যাওয়ার পর বীরভূমে তৃণমূলের এক কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মমতা। প্রথমে সেই কোর কমিটি ছিল আট জনের। পরে লোকসভা নির্বাচনের তার থেকে দুই সাংসদ বীরভূমের শতাব্দী রায় এবং বোলপুরের অসিত মালকে আগে বাদ দিয়ে ছয়জনের কোর কমিটি করা হয়। রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ এবং তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষকে নিয়ে গঠিত হয় সেই কমিটি।
অনুব্রত ফিরে আসার পর কোর কমিটির সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেন। এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের জায়গা করে দিতেই কোর কমিটির বদল চাইছেন অনুব্রত? মনে করা হচ্ছে অনুব্রত ফিরে আসার আনন্দে তার অনুপ্রেরণায় ফের জেলায় তৃণমূলের যেসকল নেতা সক্রিয় হয়েছেন, তাদের কোর কমিটি জায়গা করে দেওয়ার লক্ষ্যই কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলেছেন কেষ্ট।
আরও পড়ুন: রাজ্যে নয়া বেতন কমিশন…! চলছে বকেয়া DA মামলা, এরই মাঝে সামনে এল বিরাট আপডেট
সম্প্রতি বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠান থেকে অনুব্রত বলেন তিনি কোর কমিটির বৈঠক ডাকবেন।কেষ্ট বলেন, ”আগে কালীপুজো, ভাইফোঁটা, ছটপুজো মিটে যাক, তারপর আমি জেলা কমিটির মিটিং ডাকব। কোর কমিটির মিটিং ডাকব। তার পর কলকাতা যে ভাবে বলবে, সে ভাবে চলব।” কোর কমিটির সদস্য না হয়েও কিভাবে তিনি বৈঠক ডাকবেন সেই নিয়ে শুরু হয় চৰ্চা। ওদিকে কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরি বলেন, “নানা ব্যস্ততার কারণেই বৈঠক ডাকা যায়নি। সদ্য ব্লকে ব্লকে শেষ হয়েছে বিজয়া সম্মিলনী। কালীপুজোর পরই কোর কমিটির বৈঠক হবে।”