বাংলা হান্ট ডেস্ক : রচনা ব্যানার্জি (Rachna Banerjee) নামটাই যথেষ্ট। সারা বাংলা তাঁকে একডাকে চেনে। কখনও অভিনেত্রী (Rachna Banerjee) আবার কখনও সঞ্চালিকা হয়েই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন রচনা (Rachna Banerjee) । আর এখন অভিনেত্রী থেকে জননেত্রী হয়ে উঠেছেন রচনা। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের টিকিটে ভোটে জিতে হুগলির সাংসদ হয়েছেন তিনি।
ত্রিশূল হাতে হাঁটলেন রচনা ব্যানার্জি (Rachna Banerjee)
তারপর থেকে ক্রমাগত একাধিক বিতর্কে নাম জড়িয়েছে রচনার। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে রচনা যত না আলোচনায় এসেছেন তার চেয়ে অনেক বেশি তিনি শিরোনামে এসেছেন রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর। টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী হিসেবে রচনার জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছুই বলার নেই। পরবর্তীতে জি বাংলার জনপ্রিয় টিভি শো ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এর সঞ্চালনা করেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন রচনা।
আচমকাই ছন্দপতন! রাজনীতির ময়দানে নামতেই সেই ধারা যেন আর বজায় রাখতে পারলেন না তৃণমূল নেত্রী রচনা। লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একের পর এক তাঁর করা বেফাঁস মন্তব্য কিংবা রাজ্যে ঘটে যাওয়া জুনিয়র চিকিৎসকের মর্মান্তিক ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া ভিডিও বার্তা প্রত্যেক বারেই নেটিজেনদের ব্যাপক ক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অভিনেত্রী।
সেই রাগ কমতে না কমতেই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রচনার করা ‘কুইন্টাল কুইন্টাল’ মন্তব্য নিয়েও চলে বেজায় হাসাহাসি। তবে এই মুহূর্তে হুগলির ব্যস্ত সংসদ রচনা। নিজের এলাকার মানুষের বিপদে-আপদে ছুটে যান হামেশাই। অন্যদিকে দুর্গাপুজো কালীপুজো মিটে গেলেও এবার সামনেই আছে জগদ্ধাত্রী পুজো।
আরও পড়ুন : RG Kar আবহে বিতর্কে রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ার! জানেন তাঁদের আয় কত, যোগ্যতাই বা কী?
এবার এই জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষেই নিজের এলাকায় ত্রিশূল হাতে হাঁটতে দেখা গেল রচনাকে। এবার এই পুজো উপলক্ষেই পান্ডুয়ার পর সিঙ্গুরে উপস্থিত হন তৃণমূল সাংসদ। এই শোভাযাত্রায় রচনা ছাড়াও হাজির ছিলেন তৃণমূল মন্ত্রী বেচারাম মান্না, বিধায়ক করবী মান্না সহ আরো অনেকেই। তাদের সঙ্গেই এই শোভাযাত্রায় পা মেলানোর পাশাপাশি সবুজ পতাকা উড়িয়ে এদিনের শোভাযাত্রার শুভ সূচনা করেন সাংসদ রচনা।
ওই শোভাযাত্রা থেকেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রচনা এদিন বলেছেন, ‘সবাই অনেক কিছু নিয়ে হাঁটছে। আমাকে বলল ত্রিশুল ধরতে আমি ত্রিশুল ধরে হাঁটলাম । তাছাড়া জগদ্ধাত্রী পুজোয় আগে কোনওদিনও আসা হয়নি। এবারে এসে খুব ভালো লাগছে। সব কিছুর মাঝে সিঙ্গুর একটা আলাদা অনুভূতির জায়গা। সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সিঙ্গুরকে ভালোবাসে। তাই সিঙ্গুরে এসে সবার সাথে একসঙ্গে থাকতে খুব ভালো লাগলো’।