বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্ত্রাসবাদ দমনে এবার আরও কড়া হতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এবার সন্ত্রাস বিরোধী নতুন নীতি আনতে চলেছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার এমনটাই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। সন্ত্রাস বিরোধী এই নতুন নীতিতে কোন রাজ্যের উপরে সন্ত্রাসবাদী হামলা হলে তার বিরুদ্ধে রাজ্যকেই লড়াই করতে হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Amit Shah)।
সন্ত্রাস বিরোধী নতুন নীতি আনার হুঁশিয়ারি অমিত শাহ’র (Amit Shah)
তবে রাজ্যের পুলিশ সন্ত্রাসবাদী হামলার মোকাবিলা করলেও এক্ষেত্রে গোটা ঘটনার রাশ থাকবে কেন্দ্রের হাতেই। তাই অমিত শাহর (Amit Shah) কথায় এই নতুন নীতিতে সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে রাজ্যকে সমস্ত তথ্য দেওয়া থেকে শুরু করে ব্যবস্থা নেওয়ার সবেতেই সাহায্য করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা আর এখানেই আপত্তি অবিজেপি রাজ্যগুলির।
তাদের আশঙ্কা আসলে এইভাবে এই নতুন নীতির সাহায্যে রাজ্যের ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে সম্পূর্ণ রাশ নিজেদের হাতেই রাখতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার ২০২৪-এর সন্ত্রাসবিরোধী সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে সন্ত্রাস নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন দিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি জানিয়েছেন যে হারে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসবাদী হামলা বেড়ে চলেছে তার মোকাবিলা করতে হবে।
আর তার জন্য কোন পথে এগোতে হবে তার রোডম্যাপ-ও তৈরী করে ফেলেছে কেন্দ্র। এদিন এই সম্মেলন থেকেই সরাসরি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে এবং খুব তাড়াতাড়ি একটি জাতীয় সন্ত্রাসবিরোধী নীতিও নিয়ে আসা হবে।’
সেইসাথে অদৃশ্য হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা এবং ষড়যন্ত্র, সীমান্ত নির্বিশেষে অদৃশ্যভাবে চলছে। সন্ত্রাসীদের বয়স আগের চেয়ে কমেছে। এর বিরুদ্ধে সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে হলে আমাদের তরুণ অফিসারদের সর্বোচ্চ প্রযুক্তিতে সজ্জিত করতে হবে, তাদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। আমরা আগামী দিনে এটিকে প্রশিক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে তুলব।’
আরও পড়ুন : শরীরের মাপ নেওয়ার নাম বাজে স্পর্শ দর্জির! নারী নিরাপত্তার জন্য নতুন প্রস্তাব যোগী রাজ্যে
তবে এই নতুন নীতিতে রাজ্যের ভূমিকা ঠিক কি? আপাতত তা অন্ধকারে রেখেই অমিত শাহ বলেছেন,’কোনও রাজ্যে যদি সন্ত্রাসবাদী হামলা ঘটে তবে তার মোকাবিলা করবে রাজ্য পুলিশ। বে তথ্য দেওয়া থেকে শুরু করে ব্যবস্থা নেওয়া পর্যন্ত সবেতেই কেন্দ্রীয় সংস্থাই সহায়তা করবে।’ এখানেই আপত্তি রাজ্যের। রাজ্যগুলির আশঙ্কা আসলে এই নীতির আড়ালে কায়দা করে সন্ত্রাস বিরোধিতায় রাজ্যের ক্ষমতা ছেঁটে পুরো রাশ নিজেদের হাতে নিতে চাইছে কেন্দ্র।
আর এক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশকে শুধুমাত্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হবে। কোনো সক্রিয় ভূমিকা থাকবে না রাজ্যের স্বরাষ্ট্রদপ্তরের। কেন্দ্রের নির্দেশেই পরিচালিত হবে সবটা। যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী বলেই দাবি রাজ্যগুলির।