বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই কলকাতার রাস্তায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা (Accident)। দুটি বাসের রেষারেষি জেরে অকালেই ঝরে গেল একরত্তির প্রাণ। মায়ের চোখের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল মাত্র ১১ বছরে ফুটফুটে এক স্কুল পড়ুয়া। প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবারও মায়ের সাথে স্কুটিতে চেপে স্কুল থেকে ফিরছিল খুদে।
সল্টলেকে দূর্ঘটনায় (Accident) প্রাণ গেল ১১ বছরের খুদের
আদতে মানিকতলার বাসিন্দা এই পড়ুয়া কেষ্টপুরের একটি স্কুলে পড়াশোনা করত। মঙ্গলবার সেই স্কুল থেকেই মায়ের সাথে বাড়ি ফিরছিল সে। তার নাম আয়ুষ পাইক। কিন্তু এদিন বাড়ি আর ফেরা হলো না তাঁর। কলকাতার রাস্তায় দুই বাসের রেষারেষি জেরে আচমকাই ধাক্কা (Accident) লাগে স্কুটিতে।
জানা যাচ্ছে এদিন সল্টলেকের ২ নম্বর গেটের সামনে সল্টলেক-হাওড়া রুটের বাসের ধাক্কায় স্কুটি থেকে পড়ে যায় ওই শিশু। রক্তাক্ত অবস্থায় দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলেই ঘোষণা করে।
আরও পড়ুন : এক হোটেলে থাকলেই যৌনতার ‘লাইসেন্স’ নয়! গুরুত্বপূর্ণ রায় দিল হাইকোর্ট
অন্যদিকে শিশু মৃত্যুর এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন স্থানীয়রা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তারা। রাস্তা অবরোধ করার পাশাপাশি পরে পুলিশকে ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে বাস ভাঙচুর করতে শুরু করেন অনেকে। মানিকতলার বাসিন্দা আয়ুষের বয়স মাত্র ১১ বছর. তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া সে। জানা গিয়েছে ওই শিশুর মাকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।