বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সকাল থেকেই উপনির্বাচনকে (By Election) কেন্দ্র করে উত্তেজনা তুঙ্গে। বুধবার সকাল সাতটা থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ পর্ব। সিতাই, মাদারিহাট, তালড্যাংরা, মেদিনীপুর, নৈহাটি এবং হাড়োয়া-এই ছয় কেন্দ্রে উপনির্বাচনকে (By Election) কেন্দ্র করে অশান্তিমূলক ঘটনা এড়াতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।
রাজ্যের ৬ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন (By Election)
ভোটগ্রহণ (By Election) পর্ব শুরু হওয়ার মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যেই একের পর এক উঠে আসছে উত্তেজনার খবর। হাড়োয়াতেই বুথের মধ্যে তৃণমূল এজেন্টের সঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর ব্যাপক তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। যার ফলে মুহূর্তের মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। হাড়োয়ার সদরপুর ২০০ নম্বর বুধের মধ্যেই বিজেপি প্রার্থী বিমল দাসের সঙ্গে এদিন ব্যাপক ঝামেলা শুরু হয়ে তৃণমূলের বুথ এজেন্টের।
বিমল বাবুর দাবি ছিল বুথের দরজার পাশেই ইভিএম মেশিন ঘুরিয়ে দিতে হবে কিন্তু তাতে আপত্তি জানান তৃণমূলের বুথ এজেন্ট। তারপরেই তাঁদের দুজনের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল শুরু হয়ে যায়। সেই উত্তেজনার আঁচ গিয়ে পড়ে বুথের বাইরেও। মুহূর্তের মধ্যে দুই দলের কর্মী সমর্থকরা বুথের বাইরে ভিড় করে দাঁড়ায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই শান্ত হয়ে যায় পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! একলাফে কমল কলকাতার বায়ুদূষণ, কীভাবে হল এই অসাধ্য সাধন?
অন্যদিকে ভোট শুরু হতেই নৈহাটিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে উঠলো গুরুতর অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্রের দাবি নৈহাটির ৬৩ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে নাকি বসতেই দেয়নি তৃণমূল। এই অভিযোগ কানে আসতেই বিজেপি প্রার্থী নিজে ওই বুথে পৌঁছান। তারপর তিনি গিয়ে নিজের দলের এজেন্টকে নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বুথে বসিয়ে আসেন। সেইসাথে তাঁর অভিযযোগ ‘তৃণমূলই আমার এজেন্টকে বুথে ঢুকতে দেয়নি। আমি এসে তাঁকে বুথে ভেতর বসাই। কমিশনের কাছে বিষয়টি জানাব।’ যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
একইভাবে টুকরো অশান্তির খবর আসছে সিতাই থেকেও। অভিযোগ উঠছে সিতাই হাইস্কুলে যে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা হয়েছে, এবার সেই বুথেই কোন পোলিং এজেন্ট নেই। তাই গ্রহণ শুরু হওয়ার আগে ভোট কর্মীরাই পোলিং এজেন্ট ছাড়াই মকপোল পর্ব সেরেছেন বলে জানা যাচ্ছে ।