স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে অনিয়ম অতীত! রাজ্যবাসীর সুবিধার্থে এবার বিরাট সিদ্ধান্ত সরকারের! জোর শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের (Government of West Bengal) জনদরদী প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল স্বাস্থ্যসাথী। এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসা পরিষেবা পান রাজ্যের বহু মানুষ। এবার এই নিয়েই কড়াকড়ির পথে হাঁটল সরকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফ থেকে একটি নির্দেশ জারি করা হয়েছে। তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।

  • স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের (Government of West Bengal)!

স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi Scheme) নিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। অনেকসময় নানান অজুহাত দেখিয়ে রোগীদের ভর্তি না নেওয়ার অভিযোগ আনা হয় রোগীদের পরিবারের তরফ থেকে। এর ফলে কখনও দেখা যায়, চিকিৎসা না পেয়ে রোগীর মৃত্যু হয়েছে, কখনও আবার চিকিৎসার খরচ বহন করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হওয়ার জোগাড় হয় রোগীর পরিবারের। এবার এসব সমস্যা বন্ধ করতেই উদ্যোগী রাজ্য সরকার।

সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পেতে গিয়ে যাতে নাজেহাল না হতে হয়, সেটাই সুনিশ্চিত করার চেষ্টা করছে রাজ্য (Government of West Bengal)। তাই এবার থেকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে ডিসপ্লে বোর্ড বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এবার থেকে সেই ডিসপ্লে বোর্ডেই রোগীর এবং তাঁর পরিবার দেখতে পাবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য কতগুলি বেড রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ ফিরে পেল নতুন জীবন! গরিব ছাত্রের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যা করলেন … ধন্য ধন্য করছে সকলে

শুধু তাই নয়, কোনও রোগী যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে (Swasthya Sathi Card) হাসপাতাল/নার্সিংহোমে ভর্তি হন, তাহলে ডিসপ্লে বোর্ডে বেড সংখ্যা আপডেট করে দিতে হবে। সেই সঙ্গেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে কী কী পরিষেবা পাওয়া যাবে, সেই বিষয়েও রোগী এবং তাঁর পরিবারকে সুস্পষ্টভাবে জানাতে হবে। বেসরকারি হাসপাতাল/নার্সিংহোমগুলির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

mamata banerjee swasthya sathi scheme Government of West Bengal

সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, ৭ বছর আগেও সকল বেসরকারি হাসপাতালে এই ধরণের একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল। তবে সেই সময় কেউ তা মানেনি। তবে এবার এই নিয়ে কড়াকড়ির পথে হেঁটেছে সরকার (Government of West Bengal)। এবার থেকে প্রত্যেকটি বেসরকারি হাসপাতাল/নার্সিংহোমগুলির ক্ষেত্রে এই নিয়ম বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের ফলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসা করানো রোগী এবং তাঁদের পরিবারের হয়রানি অনেকটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁরা একদিকে যেমন সহজেই বেডের অবস্থা কী আছে না আছে বুঝতে পারবেন, তেমনই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে কী কী পরিষেবা পাওয়া যাবে সেটাও জানতে পারবেন।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর