বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার সেনাবাহিনীর হাতে বিশেষ ক্ষমতা ৬০ দিনের জন্য বাড়িয়ে দিলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) মোহম্মদ ইউনূস (Mohammad Yunus)। জনপ্রশাসন মন্ত্রক ১৫ ই নভেম্বর শুক্রবার রাতে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হাসিনা সরকারের পতনের পর,গত ৮ অগস্ট ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশের (Bangladesh) অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
বাংলাদেশের (Bangladesh) বড় আপডেট
কিন্তু তারপরেও সেনাবাহিনী তাঁবুতে ফিরে যায়নি। সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সেনা সদস্যদের ফেরাননি বলে জানা গিয়েছে। তার পরিবর্তে ইউনুসকে চাপে ফেলে গত সপ্তাহে সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর জন্য বিশেষ ক্ষমতা আদায় করে নিয়েছেন তিনি। শনিবার বিশেষ ক্ষমতার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, তার পরিবর্তে বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধিকার পেলেন সেনাবাহিনীর জুনিয়র আধিকারিকরা।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা দরকার বিজ্ঞপ্তিতে লেখা রয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ধারা মোতাবেক, সামরিক বাহিনীর তিন শাখা অর্থাৎ সেনা, বায়ু ও নৌ বাহিনীর পাশাপাশি, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও কোস্ট গার্ডকে। এবার থেকে যে কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হবেন সেনাবাহিনীর কমিশনপ্রাপ্ত জুনিয়র আধিকারিকরা।
আরোও পড়ুন : মৃতদেহ থেকে উধাও চোখ, ইঁদুরের ওপর দোষ চাপালেন চিকিৎসকেরা, কেলেঙ্কারি এই সরকারি হাসপাতালে
সে ক্ষেত্রে কোন অনুমতি গ্রহণেরও প্রয়োজন হবে না বলে জানা গিয়েছে। সেনাবাহিনীর হাতে বারবার বিশেষ ক্ষমতা প্রদানের বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত বিএনপি-সহ দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের উচ্চ নেতৃত্ব। ১/১১-র পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে নাকি? উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি, সেই সময়কার সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদের নির্দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ।
বিএনপি-আওয়ামী লীগ সহ বাংলাদেশের মূল ধারার একাধিক রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের জেলবন্দী করা হয়েছিল সেই সময়। নিস্তার পাননি শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়াও। দুই নেত্রীকে বাংলাদেশের (Bangladesh) রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে মাইনাস টু ফর্মুলার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালালেও, তা সম্ভব হয়নি।