বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) ওঠে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) মেয়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য সংক্রান্ত মামলা। সেখানেই ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন অভিযুক্তর পক্ষের আইনজীবীরা। আইনজীবীরা পালটা হলফনামা দেওয়ার জন্য ৬ সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন। তাতেই আদালতের প্রশ্ন, ‘এত দেরি কিসের জন্য?’ পাল্টা সাতদিনের ডেডলাইন দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এর আগে এই মামলায় রাজ্যকে রিপোর্ট জমা করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সেই মতো শীর্ষ আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত জন আইপিএস অফিসারের নাম জমা দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। যার মধ্যে পাঁচ জন মহিলা অফিসারের নাম দেওয়া হয়েছে।
মাসখানেক আগের ঘটনা। অভিষেকের মেয়েকে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণের মন্তব্যকে সমর্থন করে হাততালি দেওয়ার অভিযোগে দুই মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযোগ ওঠে, হেফাজতে থাকাকালীন ওই দুই মহিলাকে ব্যাপক মারধর করে পুলিশ। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তারা। অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।
এরপরই সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। গোটা ঘটনায় রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত করার স্বপক্ষে সওয়াল করা হয়। গত সোমবার এই মামলা শুনানির জন্য উঠলে সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুয়ানের বেঞ্চে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) মেয়ের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত খবর! ১,২ নয়; আসছে ১০টি বন্দে ভারত স্লিপার! বাংলার ভাগ্যে কটা নতুন ট্রেন জুটল জানেন?
গত শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, রাজ্যকে সাত জন আইপিএস অফিসারের (IPS Officer) নাম জমা দিতে হবে। যার মধ্যে পাঁচ জন মহিলা অফিসার থাকবেন। আদালত জানিয়েছিল, রাজ্যের বাইরে কাজ করছেন, এমন আইপিএস অফিসারদের নাম দিতে হবে। যদিও তারা পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের হতে পারবেন। এরপরই আদালতের নির্দেশ মতো শনিবার সাত অফিসারের নামের তালিকা দেয় রাজ্য। আপাতত সিবিআই তদন্তের উপর স্থগিতদেশ জারি রয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার।