বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাজারে চড়া হারে বাড়ছে খাদ্য দ্রব্যের। সেইসাথে পাল্লা দিয়ে মাথাচাড়া দিচ্ছে ব্যাঙ্কের ঋণে সুদের হারও। তাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্যাঙ্কের ঋণে চড়া সুদ ইদানিং সাধারণ মানুষের অস্বস্তির অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে। এই সুদ মেটাতে গিয়ে কার্যত হিমশিম খাচ্ছেন আম জনতা। তাই এবার যেনতেন প্রকারেণ সাধারণ মানুষকে স্বস্তি ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী কেন্দ্রীয় সরকার।
ব্যাঙ্কের চড়া সুদ কমাতে সওয়াল নির্মলা সীতারামানের (Nirmala Sitharaman)
তাই এবার প্রচ্ছন্নভাবেই রিজার্ভ ব্যাংককে সেই বার্তাই দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মালা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। সোমবার স্টেট ব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলনের মঞ্চ থেকেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামানের (Nirmala Sitharaman) মুখেও শোনা গেল ঋণের সুদ কমানোর বার্তা। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়ালের পর এদিন সবাইকে অবাক করে দিয়েই ব্যাংকের কাছে ঋণের হার সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসার আর্জি জানালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)।
সেই সাথে তিনি দাবি করেছেন বর্তমান যা পরিস্থিতি তাতে ভারতে শিল্পের সম্প্রসারণও দরকার। তার জন্য নতুন কারখানাতে লগ্নী করাও প্রয়োজন। আর এটা সম্ভব হবে একমাত্র কম খরচে ঋণ পাওয়া গেলেই। যা আগামী দিনে ভারত সরকারের ‘বিকশিত ভারতের লক্ষ্য’ পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে।
একই সাথে এদিন অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় অর্থনীতির দেশ করে তুলতে গেলে সবার প্রথমে এগিয়ে আসতে হবে দেশের সমস্ত ব্যাংকগুলিকে। তাই যত কম সুদে ঋণ পাওয়া যায় সেই ব্যবস্থাই করতে হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্দেশ্যে এদিন অর্থমন্ত্রীর জোরালো বার্তা ছিল ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির জন্যই সুদের হার ছাঁটাই করা খুব দরকার।
কারণ বিভিন্ন মহল থেকে এই চড়া ঋণের খরচ যোগাতে গিয়ে হিমশিম খাওয়ার অভিযোগ উঠছে। তাই এদিন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের মতোই সুদ কমানোর পক্ষে সাওয়াল করে নির্মলা সীতারামন বুঝিয়ে দিয়েছেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামো মজবুত করতেই রিজার্ভ ব্যাংকের সুদ কমানোর তাৎপর্য কতখানি।
আরও পড়ুন: এবার সুপ্রিম কোর্টে বেকায়দায় ED! কতগুলি তদন্ত বিচার বা সাজা পেয়েছে? উঠল প্রশ্ন
গত সপ্তাহেই দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য রিজার্ভ ব্যাংকের সুদ কমানোর দাবি তুলে সাওয়াল করেছিলেন পীযূষ গোয়েল। এই সওয়াল করতে গিয়ে খাদ্যপণ্যের আগুন দামকে গুরুত্ব দেওয়ার তত্ত্বকে ত্রুটিপূর্ণ তকমা দেওয়ায় তাঁর মন্তব্যকে ‘অসংবেদনশীল’ বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা।
যদিও এদিন এই বিষ্যয়টি বেশ কায়দা করেই এড়িয়ে গিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি শুধু বলেছেন এই মুহূর্তে তিনটি বা চারটি পচনশীল খাদ্য পণ্য খুচরো মূল্যবৃদ্ধিকে ঠেলে তুলছে। কিন্তু খাদ্য জ্বালানি ছাড়া বাকি জিনিসের দাম নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে খাদ্য পণ্যের দাম মূল্য সূচকের হিসেবে থাকা উচিত কিনা সেই প্রসঙ্গে না গিয়েই তা নির্মলা ঠেলে দিয়েছেন রিসার্ভ ব্যাংকের ঋণ নীতি কমিটির দিকেই।